আহমদ শাহ দুররানি। তিনি আহমদ খান আবদালি নামেও পরিচিত। আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা বিবেচনা করা হয় তাকে। তিনি আটবার ভারতবর্ষ আক্রমণ করেছিলেন। আর ১৭৬১ সালের জানুয়ারিতে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠা শক্তিকে পুরোপুরি পর্যুদস্ত করেছিলেন। মঙ্গলবার তালেবান যে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে, তার প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে। এই হাসান আখুন্দ হলেন আহমদ শাহ দুররানির বংশধর।
তবে হাসান আখুন্দ বংশগৌরবে নয়, নিজের যোগ্যতাবলেই ওই পদ পেয়েছেন। তার বয়স ৭০-এর কাছাকাছি।
তালেবানের জন্মস্থান কান্দাহারেরই বাসিন্দা তিনি। জাতিগতভাবে পশতুনদের কাকার গোত্রের সদস্য। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদরাসায় তিনি পড়াশোনা করেছেন। তিনিও ছিলেন তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের প্রিয়ভাজন। আর ওই কারণেই জাতিসঙ্ঘ তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
তালেবান আন্দোলনে হাসান আখুন্দ অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন। বিশেষ করে সর্বোচ্চ নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তাকে খুবই পছন্দ করেন।
তিনি শূরা তথা লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। সামরিক কার্যক্রমেও তিনি দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের মুখে তালেবান ক্ষমতা থেকে বিচ্যুত হওয়ার পর গঠিত কোয়েটা শূরায় (রাববারি শূরা, কাউন্সিল অব লিডার্স নামেও অভিহিত) তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি ইসলামের ওপর বেশ কয়েকটি গ্রন্থও রচনা করেছেন।
প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের আফগানিস্তান সরকারে তিনি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পরে উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।