শেখ রেহেনা, শেখ রেহেনার ছেলে, তোফায়েল আহমেদ ও মতিয়া চৌধুরীকে দিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি মনে করেন, সত্যিকারের নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
সোমবার দুপুরে শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানীর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে `মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক ও তার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় স্মরণ মঞ্চ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সত্যিকারের নির্বাচন কমিশন করতে হলে আমাদেরকে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার নয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ রেহেনা, তার ছেলে, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, বিএনপির যারা আছে তাদের নিয়ে আর আমরা সাধারণ মানুষ যারা আছি তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতির সামনে কঠিন সমস্যা আছে। এক দিকে করোনা আরেক দিকে ডেঙ্গু। আরেকটা নতুন ভাইরাস; নিপা ভাইরাস। তিন রোগেরই চিকিৎসা সহজ। করোনায় সবাইকে টিকা দিতে হবে।
তিনি বলেন, সস্তায় টিকা পাওয়া যায়। কিন্তু সন্তায় টিকা কিনলে সরকারের পকেট ভরে না। তাই তারা কিনবেন না। ডেঙ্গুর চিকিৎসা ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল। মশারি টানাতে হবে আর প্যারাসিটামল খেতে হবে। এটাই চিকিৎসা। কিন্তু এই প্যারাসিটামল বাজারে পাওয়া যায় না। আজ যদি ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল পাওয়া না যায় তাহলে উন্নয়ন কতটা হয়েছে ভেবে দেখেন।
এসময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, যারা মনে করেন আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ করতে পারলে আমরা গণতন্ত্রের স্বাদ পাবো, তারা মনে রাখবেন এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না। উনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন কমিশন কেনো প্রধান বিচারপতিরও ক্ষমতা নাই। উনি যেভাবে চাবে সেভাবেই হবে।
নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে দিবে না। নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা গঠন করতে দিবে না। ওরা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে দিবে না। সেই কারণেই একটার পর একটা নিজেরাই ষড়যন্ত্র করছে, একটার পর একটা বুদ্ধি আটছে। পরামর্শ করছে।
সংগঠনটির সভাপতি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।