আওয়ামী লীগ নয়, ‘আমলা লীগ’ দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পুলিশ এখন চোর-ডাকাত ধরা বাদ দিয়ে সাংবাদিকতাও করবে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আজকাল আপনি জেলাগুলোতে যদি যান, ঢাকার ডিসি (জেলা প্রশাসক) অফিসে যান যেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মিটিং হয় বা কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মিটিং হয়, সেখানে সরকারি আমলারাই সবচেয়ে বেশি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে।’
আওয়ামী লীগ কোথায়? আওয়ামী লীগ তো নেই এখন। এখন তো পুরো আমলা লীগ। আমলা মানে-সামরিক, বেসামরিক-পুলিশ সব। এই একটা অবস্থা বাংলাদেশে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে যখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা খবরের কাগজে দেখি যে, কারা হত্যা করছে? বেশির ভাগ দেখি যে, পুলিশের লোক চাঁদা আদায় করছে, জোর করে তুলে নিয়ে অপহরণ করে টাকা আদায় করছে। আমরা যখন দেখছি যে, পুলিশের অফিসার ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হচ্ছে। তখন তারা একটা নতুন কারসাজি শুরু করেছে। আইজি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) বলেছেন যে, এখন পুলিশ সাংবাদিকতাও করবে। কী অবস্থা দেশের। এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাদ দিয়ে, চোর-ডাকাতকে ধরা বাদ দিয়ে, যারা অন্যায় করছে তাদের ধরা বাদ দিয়ে তারা সাংবাদিকতাও করবে। এটা কিন্তু সুদূরপ্রসারী। পুলিশ যখন সাংবাদিকতা করতে চায় তাহলে বুঝতে হবে যে, এই রাষ্ট্র আর নেই। করবে না কেনো, পুলিশকে এতো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে, ওরা নিজেরাই বলে, বাতির রাজা হচ্ছে ফিলিপস, মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা হচ্ছে পুলিশ। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেখলাম যে, আমাদের তথ্যমন্ত্রী বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বা বাইরে থেকে যে সমস্ত টিভি পরিচালিত হয় সেই টিভিগুলো এখানে (বাংলাদেশ) পরিচালনা করতে গেলে এখান থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যে সত্য কথাগুলো প্রচারিত হয়, গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলে তাদেরও এখন সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে।’
উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে ও উপদেষ্টা ওবায়দুর রহমান চন্দনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামসুল আলম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সারওয়ার, ছাত্র দলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।