প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই দুরন্ত বাংলাদেশকে দেখা গেল। মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৬০ রানে অল আউট করে দিয়েছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের এটি সর্বনিম্ন স্কোর। আগেরটিও ছিল ৬০ রানের। ২০১৪ সালে মার্চ মাসে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে ১৫.৩ ওভারে ৬০ রানে অল আউট হয়েছিল কিউইরা। এবার সেই সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড আবার স্পর্শ করলো নিউজিল্যান্ড। প্রথম টি-টোয়েন্টি জিততে বাংলাদেশের দরকার মাত্র ৬১ রান।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুর্দশার মধ্যে ছিল নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে দলটি তুলতে পারে মাত্র ১৮ রান। উইকেট পড়ে ৪টি। ওভারের হিসেবে চারটি উইকেট পড়েছে চার ওভারের মধ্যে।
প্রথম ওভারে শুরুটা করেন স্পিনার মেহেদী হাসান। আন্তর্জাতিক অভিষেকে প্রথম বলেই বিদায় নেন রাচিন রবীন্দ্র। মেহেদি বল দেন ঝুলিয়ে, রবীন্দ্র লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটের মুখ বন্ধ করে দেন আগেই। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় বোলারের কাছে। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে গোল্ডেন ডাক পাওয়া চতুর্থ ক্রিকেটার রবীন্দ্র। আগের তিনজন ম্যাথু সিনক্লেয়ার, কাইল মিলস ও ফিন অ্যালেন।
পরের ওভারে উইকেট আসেনি। তৃতীয় ওভারে সাকিব নেন উইকেট। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল পিচ করে মন্থর হয় আরও, নিচুও ছিল অনেকটা। ইয়ং চেষ্টা করেন কাট করার। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। ১১ বলে ৫ রান করে আউট হন ইয়ং।
চতুর্থ ওভারে নাসুমের জোড়া আঘাত। তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগ সীমানায় মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ দেন গ্রান্ডহোম। ৪ বলে তিনি করেন ১ রান। ওভারের শেষ বল স্টাম্প সোজা জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন পুরোপুরি মিস করেন ব্লান্ডেল। বল ভেঙে দেয় স্টাম্প। ৬ বলে ২ রান করেন ব্লান্ডেল। ৯ রানে নেই চার উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম চার ওভারে চার উইকেট নিতে পারল বাংলাদেশ।
এরপর দলের বিপযয় রোধ করেন অধিনায়ক টম লাথাম ও হেনরি নিকোলস। এই জুটি করতে পারে ৪১ বলে ৪৩ রান। শেষ অবধি এই জুটি ভাঙেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। দলীয় ৪৩ রানে নিউজিল্যান্ডের পড়ে পঞ্চম উইকেট। পুল করতে গিয়ে নাসুমের হাতে ক্যাচ দেন কিইউ অধিনায়ক লাথাম। ২৫ বলে তিনি করে ১৮ রান।
অধিনায়কের বিপদের পর আবার বিপযয়ে নিউজিল্যান্ড। ৫৫ রানের ব্যবধানে পড়ে আরও চার উইকেট। অভিষিক্ত ম্যাককঞ্চি পান ডাকের স্বাদ। ৩ বলে কোন রান না করে তিনি বিদায় নেন সাকিবের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
দলীয় ৪৯ রানে বিদায় নেন নিকোলস। তিনি সাইফউদ্দিনের শিকার। এই ক্যাচও লুফে নেন ফিল্ডাররুপে হাজির হওয়া মুশফিকুর রহীম। ২৪ বলে ১৭ রান করে ফেরেন নিকোলস।
১৫তম ওভারে পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের জোড়া আঘাত। বিদায় করেন ব্রেসওয়েল (৫) ও আজাজ প্যাটেলকে (৩)। নিউজিল্যান্ডের শেষ উইকেট নিয়ে ইনিংসের সমাপ্তিও করেন মোস্তাফিজ। জ্যাকব ডাফির ক্যাচ নেন সাইফউদ্দিন। ১৬.৫ ওভারে ৬০ রানে অল আউট নিউজিল্যান্ড।
মোস্তাফিজ তিনটি, নাসুম, সাকিব ও সাইফউদ্দিন দুটি করে, মেহেদী হাসান একটি করে উইকেট লাভ করেন।