আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৩ মার্কিন সেনাসহ নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশত্যাগের জন্য বিমানবন্দরের বাইরে যখন হাজার হাজার আফগান নাগরিক অবস্থান করছিলেন তখন বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এ সময় সেখানে প্রায় চার থেকে পাঁচশ মানুষ ছিল। প্রথম বিস্ফোরণের পর দূর থেকে গুলি চালায় আরেক হামলাকারী। এর কিছুক্ষণ পরই নিকটবর্তী ব্যারন হোটেলের বাইরে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে।
তালেবান যোদ্ধারা কাবুল দখল করার পর আফগানিস্তান থেকে হাজার হাজার মানুষ বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছিলেন। সে কারণে প্রতিদিন কাবুল বিমানবন্দরে অস্বাভাবিক মাত্রায় মানুষের ভিড় ও গোলযোগ দেখা যাচ্ছিল।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্ফোরণ পরবর্তী ভিডিওতে দেখা গেছে লাশের স্তূপ। আহতদের অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেককে ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস)। নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাক-এর এক প্রতিবেদনে হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠনটি।
বিস্ফোরণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে দায়েশ আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে নাগরিকদের দূরে থাকার আহ্বান জানায় এসব পশ্চিমা দেশ।
তবে গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকে কাবুল বিমানবন্দরে হাজার হাজার মানুষের সমাগম থাকা সত্ত্বেও আমেরিকা ও ব্রিটেন আশঙ্কা প্রকাশ করার পরপরই কেন বিস্ফোরণ ঘটল সে প্রশ্নের কোনও উত্তর এসব দেশের গণমাধ্যম দিতে পারেনি। পশ্চিমা দেশগুলো কীভাবে আগেভাগে হামলার খবর জেনে গিয়েছিল এবং জেনে গিয়ে থাকলে তা কেন ঠেকাতে পারল না এমন প্রশ্নও জনমনে উঠতে শুরু করেছে।