ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির পাশে দাঁড়াচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের একদল আইনজীবী। তাকে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে উচ্চ আদালতে বিনা পয়সায় দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না।
গতকাল রোববার এক ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানান এই আইনজীবী। তিনি লিখেছেন, ‘পরিমনির মামলা বিনা পারিশ্রমিকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা সঙ্গে থাকতে চান, থাকবেন।’
এরপর গণমাধ্যমকে এই আইনজীবী বলেন, ‘পরীমনির পক্ষে বিনা পয়সায় আইনি লড়াই করব। আমার সঙ্গে একদল আইনজীবী থাকবেন। আইনজীবী দলে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, মাহরিন মাসুদ ভূইয়া, আয়েশা আক্তার, রোহানী সিদ্দিকা, রোহানী ফারুক খান, দেবজিৎ দেবনাথ, মশিউর রহমান রিয়াদ, মানবেন্দ্র রায় মণ্ডল, নাজমুস সাকিব, ইয়াসমিন ইতি প্রমুখ।’
এর আগে, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া মিন্নির পক্ষে আইনি লড়াই করে হাইকোর্ট থেকে তাকে জামিন করিয়েছিলেন।
এদিকে, পরীমনির বর্তমান আইনজীবী মুজিবর রহমানের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না। দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে আইনজীবী মুজিবর রহমান বলেন, ‘আজ সকালে উনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি অনেক সিনিয়র একজন আইনজীবী। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন আইনজীবী থাকবেন। আশা করি, সবাইকে নিয়ে আইনি লড়াইয়ে আমরা জয়ী হবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে কিছু মানুষ কথা রটিয়েছে, পরীমনির মামলা আমরা কুঁড়িয়ে পেয়েছি। আলোচনায় আসার জন্য মামলাটি নিয়েছি। সবাইকে বলতে চাই, আমি পরীমনির আগের কয়েকটি মামলার আইনজীবী। সর্বশেষ পরীর হয়ে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের মামলাটিও আমি দেখছি।’
এদিকে, পরীর মুক্তির দাবিতে তিন দফায় প্রেস ক্লাব ও শাহবাগ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নাগরিক সমাবেশ। গতকাল রোববার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তার মুক্তির দাবিতে আবারো সমাবেশ করেছেন বিক্ষুব্ধ নাগরিকজন। এ সময় ‘জাস্টিস ফর পরীমনি’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শাহবাগ চত্বর। এতে উপস্থিত হয়ে পরীর জামিন ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে দেশের শিল্পীসমাজ।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদর দফতরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীর বিরুদ্ধে মামলা করে। তিন দফা রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।