এখনও থমথমে বরিশাল। নতুন মোড় নিয়েছে পরিস্থিতি। বরিশাল সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি থানার ওসি ও আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। আজ সকালে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করা হয়। মামলা দুটির বাদী হয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন ও বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। দুটি মামলায়ই সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুল ইসলাম, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ইউএনওর বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত সূত্র জানিয়েছে, বিচারক এখনও মামলার আবেদনটি গ্রহণ করেননি। এদিকে ইউএনও বাসভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ২১ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সরজমিন দেখা যায়, ইউএনওর বাসভবনের সামনে ১২ জন পুলিশ ও ৮ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
কাজে ফিরেছেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনের সামনের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে আনসার ও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে শতাধিক। পরে ইউএনও ও এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে বিসিসি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে ৬০২ জনের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেন। মামলায় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।