শ্রীপুর(গাজীপুর)ঃ শ্রীপুর-ভালুকা সীমান্তে খিরু নদীতে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় বনভোজনের ট্রলার ডুবিতে এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অমিত রায়। তিনি গাজীপুর শহরের বিলাসপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের নাম তানবীর মিশু। বাড়ি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ঝালপাজা গ্রামে। তিনি সিডষ্টোর বাজার আল-মদিনা শপিং কমপ্লেক্স এর কাপড় ব্যবসায়ী। ঝালপাজা গ্রাম নিবাসী, আজিজুল হক মন্ডলের ছেলে। তিনি বিন্দু মাল্টিমিডিয়ার মালিক।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খিরু নদীতে আনন্দ ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে চিকিৎসকদের ওই ট্রলারের সঙ্গে বালু বোঝাই একটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অন্তত ২৫ জন আনন্দ ভ্রমণে বের হন। ভ্রমণকারী দলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক এবং ঘনিষ্ঠজনরা ছিলেন। ভালুকার খিরু নদী দিয়ে গফরগাঁও-কাপাসিয়া-শ্রীপুর সীমান্তের ত্রিমোহনী এলাকায় বেড়াতে যান তারা। ভ্রমণ দলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও দুই শিশুসহ ৬ জন, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের লোকজন ছিলেন।
দিনভর আনন্দ ভ্রমণ শেষে সন্ধ্যায় ভালুকায় ফেরার পথে শ্রীপুর-ভালুকা সীমান্তে ধামলই-উড়াহাটি পয়েন্টে খিরু নদীতে চিকিৎসকদের বহনোরী ট্রলারটিকে বালু বোঝাই একটি ট্রলার ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় চিকিৎসকদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে সকল সদস্য সাঁতরে তীরে উঠে আসতে পারলেও নিখোঁজ হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. অমিত রায় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংলগ্ন বন্ধু মাল্টিমিডিয়ার ব্যবসায়ী তানভীর হোসেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যান। রাত সোয়া ১২টার দিকে তানভীরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল মামুন বলেন, রাত ৯ টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। নিখোঁজের উদ্ধারে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।