নোয়াখালীঃ নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে (৫০) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় এক হামলাকারীসহ দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুনুর রশিদ মোল্লা উপজেলার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হচ্ছেন- নিহতের ভাতিজা রমিজ উদ্দিন (২৫) ও হামলাকারী গিয়াস উদ্দিন (৩০)।
নিহতের আরেক ভাতিজা জামাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হারুনুর রশিদ মোল্লার ভাই আমিনুল হকের বাড়ির ওপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করেন সাহাব উদ্দিন নামের একজন। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমিনুল হক সাহাব উদ্দিনকে দাঁড় করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবির্তক হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছকিদারহাট সামছুল হক ভূইয়া মসজিদে আমিনুল হক ও তার ভাতিজা সজিবের (হারুনুর রশিদ মোল্লার ছেলের) সঙ্গে সাহাব উদ্দিন, রিয়াদ, রিপন, নাছির, ফরহাদ ও রহমানসহ কয়েকজনের পুনরায় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছকিদারহাট ও তার আশপাশের এলাকায় সজিবের ওপর হামলার জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে অবস্থান করে সাহাব উদ্দিন, রিয়াদ ও রিপন। বিষয়টি জানতে পেরে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে ছকিদারহাটের দিকে আসছিলেন হারুনুর রশিদ মোল্লা, আমিনুল হক ও রমিজ। পথে তালতলা এলাকায় তাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
প্রথমে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান হারুনুর রশিদ মোল্লা। এ সময় আমিনুল হক পাশ্ববর্তী একটি ক্ষেত দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও আটকা পড়েন হারুন ও রমিজ। ওই সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে ছকিদারহাট বাজারে আসেন রমিজ। পরে সজিবসহ বাজারের লোকজন তালতলা এলাকায় গিয়ে সড়কের পাশের একটি ক্ষেতের পানির নিচ থেকে বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ মোল্লার নাড়ি-ভুড়ি বের হওয়া লাশ উদ্ধার করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।