গ্রাম বাংলা ডেস্ক: গত পাঁচ বছরে কোনো পরীার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন দাবি করেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। দিনের কার্যসূচির শুরুতে মন্ত্রীদের প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাংসদ মো. আবদুল্লাহ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন জানতে চান দেশের প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায়, বিশেষ করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীায় প্রতিবছরই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। এতে মাঝেমধ্যে পরীাও স্থগিত করা হয়। এসব প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করা হয়েছে কি? কতজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে কোনো পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অধীন অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যাওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় এবং প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন প্রশ্নপত্রে নতুনভাবে পরীক্ষা নেয়া হয়।
মন্ত্রী জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের এ ঘটনার বিষয়ে তদন্তে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা একটি কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে এ বিষয়টি তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও উচ্চমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় ফরিদপুরে দায়ের করা দুটি মামলায় তিনজন কারাগারে আছে।