গণদাবি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত পদত্যাগ করে দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনর্প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা চেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি, এখনও সময় আছে। ফ্যাসিবাদী একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের উন্মাদনা ও ব্যর্থ প্রচেষ্টা থেকে সরে এসে গণদাবি মেনে নিয়ে দ্রুত পদত্যাগ করুন এবং দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুনর্প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করুন।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অন্যথায় গণআন্দোলনে পতনের পর গণরোষে নিপতিত হয়ে পরিণাম শুভ হবেনা। ইতিহাস তাই সাক্ষ্য দেয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, অবৈধ, অনির্বাচিত, দখলবাজ আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রশক্তির চূড়ান্ত অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে এই জনপদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অবৈধ সরকারের এহেন শ্বেতসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর জনগণ অচিরেই আইন অমান্য ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, সরকারের নেতা-মন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বড় কর্তারাও প্রকাশ্যে সভা-সমিতি করে ‘ক্রসফায়ার’-এ হত্যার কৃতিত্ব দাবি করে বেড়াচ্ছেন। এ সমস্ত বিকৃত মস্তিষ্কের নেতা-মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ভবিষ্যত পরিণতি ‘গণকারফিউ’ এবং ‘গণপিটুনি’-তে নির্ধারিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তিনি এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকাশ্য দাম্ভিক ঘোষণা আগামীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে বিবৃতিতে দাবি করেন।
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে পুলিশ ক্রসফায়ারে হত্যা করে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে। তাকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি। এবার তার পিতা-মাতা, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শাশুড়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে, ছাত্রদল নেত্রী নিশিতাকেও।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ গাজীপুরে সিটি মেয়র এম এ মান্নাকে মুক্তি দাবি করে বলেন, ইতোপূর্বে, গ্রেফতার করা হয়েছে গাজীপুরের সিটি মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে। আমরা এ জাতীয় বেআইনি ও ঘৃণ্য গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।