নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।
সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যালে চয়নিকা চৌধুরীর গাড়িটি ঘিরে ধরে পুলিশ। পরে তাকে সেখান থেকে আটক করা হয়।
চয়নিকা চৌধুরীর প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমনি।
এই কাজের সুবাদে নায়িকা পরীমনির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর।
এরপর বিভিন্ন সময়ে একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। চয়নিকাকে নিজের ‘মা’ বলে অভিহিত করেন পরীমনি। চয়নিকা নিজেও পরীমনিকে মেয়ের মতো ভাবেন বলে জানান। সবশেষ উত্তরা বোট ক্লাব কাণ্ডের পর পরীমনির পাশে ছায়ার মতো দেখা গেছে চয়নিকা চৌধুরীকে।
বুধবার (৪ আগস্ট) র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, এলএসডি, আইস ও বিভিন্ন প্রকার মাদকসহ আটক হন পরীমনি। এর আগে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। আটকের আগে ফেসবুক লাইভে এসে পরিচিত সবার সাহায্য চান পরী। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। এমনকি তার ‘মা’ খ্যাত নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীও এদিন আসেননি।
এমনকি পরীমনি আটকের নিশ্চুপ ছিলেন চয়নিকা চৌধুরী। অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি। চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘এবারের ঘটনার সময় আমি ফেসবুকে ছিলাম না। সন্ধ্যার দিকে সুবর্ণা আপা ফোন করার পর জানতে পারি। তখন ৬টার বেশি বাজে। সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম। কিন্তু কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। এর মধ্যে লাইভও বন্ধ হয়ে গেছে। র্যাব সদস্যরা ঢুকেছেন ওর বাসায়। তখন আমি ছুটে যেতে পারতাম, কিন্তু বাসায় ঢুকতে পারতাম না। এখানে আমার আসলে কিছু করার ছিল না। ’
পরীমনির সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘পরীমনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। তার সঙ্গে কাজভিত্তিক আলোচনা হয়। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পরীমনির সঙ্গে কোনো দিনই আলাপ করিনি। আর আমিও তার ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাইনি, জানতেও চাইনি। ’