ঢাকাঃ এখানেই শেষ নয়, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দাদের নজরদারিতে আছেন আরো অনেকে। ছায়া তদন্ত শেষে অভিযোগ পেলেই চালানো হবে অভিযান। ইতোমধ্যে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের সূত্র ধরেও চলবে অভিযান। এমন কথা জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা। এদিকে সাম্প্রতিক একের পর এক অভিযানে শোবিজ জগতে শুরু হয়েছে চরম অস্থিরতা। অনেকে এটাকে শুদ্ধি অভিযান বলছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিত্র পরিচালক বলেন, বছরের পর বছর কোনো সিনেমা রিলিজ হয় না এমনও অনেক নায়িকা বিলাসী জীবনযাপন করছেন। তাদের অর্থের উৎস খুঁজে বের করা উচিত।
সম্প্রতি কয়েকটি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন কথিত মিডিয়াব্যক্তিত্ব আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীর, চিত্রনায়িকা একা, মডেল কন্যা পিয়াসা ও মৌ। সর্বশেষ গতকাল বুধবার গ্রেফতার হলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণি। তাকে বনানীর বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি পরীমণি রাজধানীর আশুলিয়া বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার কথা বলে ব্যাপক আলোচিত হন। ওই ঘটনায় পরীমণি মামলা দায়ের করলে বোট ক্লাবের কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ কয়েকজন গ্রেফতার হন। পরে অবশ্য পরীমণির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায় পরীমণি ওই ক্লাবে ঢুকে সঙ্গীদের নিয়ে ইচ্ছামতো মদপান করছিলেন। ওই সময়ও পরীমণির বাসায় অভিযান চালানো হয়েছিল।
সূত্র জানায়, ওই সময় থেকেই পরীমণি গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। সর্বশেষ গতকাল তার বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এদিকে পিয়াসা ও মৌকে গ্রেফতারের পর তাদের কয়েকজন পুরুষ দোসরকেও গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ঢাকার শীর্ষ সারির ব্যবসায়ী মিশু হাসানও রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চোরাচালানি ও পিয়াসাকে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখানেই শেষ নয়। আরো অনেকে গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছেন। বিশেষ করে ধনাঢ্য ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন সময়ে যারা ব্ল্যাকমেইল করে টাকার পাহাড় জমিয়েছেন। যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। সূত্র জানায়, একজন নারী চিত্র পরিচালক রয়েছেন তিনিও নজরদারির মধ্যে আছেন। পরীমণিকে ব্যবহার করে ওই নারী পরিচালকও কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। আছে আরো কয়েকজন মডেল ও পরিচালক। যাদের বিরুদ্ধেও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর মাদক বারগুলোতে করোনার কারণে সার্ভিস সীমিত হয়ে যাওয়ার সুযোগটি নেয় অনেকেই। মৌ-পিয়াসাসহ অনেকেই এই সুযোগে নিজেদের বাসাবাড়িতে মিনি বার বসিয়ে মাদক সেবনের বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। রাতে এসব মিনি বারে উঠতি বয়সের অনেকেই ভিড় করছে। এ নিয়ে অনেক ভদ্র পরিবার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করা হচ্ছিল।