করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজধানীসহ ঢাকার সব জেলায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে সারা দেশে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা স্বাস্থ্য বুলেটিনে রোববার দুপুরে এই তথ্য জানান অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জাপান থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সোয়া ১০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ এসেছে। আগামী মঙ্গলবার আরো সোয়া ৬ লাখ ডোজ আসবে। এতে ঘাটতি টিকার সংস্থান হয়েছে। ফলে এ টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষামানদের টিকা দেয়া সম্ভব হবে।’
দেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশ সরকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কিনলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দেয়ার পর সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ভারত। এমনকি এ বছরের শেষে ছাড়া অন্য দেশকে টিকা দিতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর বাইরে ভারত সরকার ৩৩ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেয়। সেটা দিয়েই দেশে গণটিকাদান শুরু করে সরকার। যা টিকার অভাবে পরে ব্যাহত হয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে বিপাকে পড়ে সরকার। তাদের দ্বিতীয় ডোজ শেষ করতে বিকল্প উৎস থেকে টিকা খোঁজা হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সরকারের বহুমুখী চেষ্টায় শনিবার এই টিকা দেশে আসে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ১৫টি দেশের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান। এখান থেকে দফায় দফায় ৩০ লাখ আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশকে দেবে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না থাকলেও সরকারের হাতে এখন টিকার মজুত এক কোটির বেশি। এর একটি অংশ চীন থেকে কিনে আনা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ টিকা এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।
আগস্টে আরো এক কোটির বেশি টিকা আসবে বলে নিশ্চিত করেছে সরকার। দেশে এখন চীনের সিনোফার্মের টিকা, ফাইজারের টিকা, মডার্নার টিকা দিয়ে টিকাদান কার্যক্রম চলছে।