বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বয়সের ভারে ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না মো. নুরু আকন (৮০)। চোখেও ঝাপসা দেখেন। সরকারি কোনো ভাতার তালিকায় নেই তার নাম। তাই পেটের দায়ে এ বয়সে ইট ভাঙার মতো কঠিন কাজ করতে হচ্ছে তাকে। আর স্ত্রী হাজেরা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন।
বৃদ্ধ নুরু আকনের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাউফল সরকারি কলেজের পশ্চিম পাশে ছোট্ট একটি ঘরে থাকেন। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেও বিয়ে করে ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন।
বাউফল পৌরসভার মুসলিমপাড়া সড়কে বুধবার ইট ভাঙার কাজ করছিলেন নুরু আকন। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, বয়সের কারণে ইট ভাঙতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু কি কইরা খামু? বয়স্ক ভাতায় নাম দিতে হইলে টাহা লাগে। নাম দেওনের লইগা নারী কমিশনার পাঁচ হাজার টাহা চাইছিল। দিতে পারি নাই। হের লইগা বয়স্ক ভাতায় নাম দেয় নাই।
নুরু আকন আরও বলেন, কাম না থাকলে অনেক সময় না খাইয়াও থাকতে হয়। অসুখ অইলে টাহার অভাবে চিকিৎসা করাইতে পারি না। আমারে বয়স্ক ভাতায় একটা নাম দেওনের ব্যবস্থা কইরা দেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান দুঃখ প্রকাশ করে জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তার কাছে তালিকা আসে। বয়স্ক ভাতার তালিকায় নুরু আকনের নাম কেউ দেয়নি। এ বিষয়ে বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক বলেন, বৃদ্ধ নুরু আকন বয়স্ক ভাতা পান না- তা আমার জানা ছিল না। তার মতো দরিদ্র ও বয়স্ক মানুষের নাম ভাতার তালিকায় না থাকাটা দুঃখজনক। পরে বয়স্ক ভাতার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্তির যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে।