বুধবার রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে শ্রমিকদের সমাবেশ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সমাবেশে থেকে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি শ্রমিকদের চেনেন না। পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করা খালেদাকে শ্রমিকরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে দেবে না।’
এ সময় তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশ্য আগামী সমাবেশ গুলোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সমাবেশে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রংপুর ও বগুড়া বিভাগে সভা করা হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে জাতীয় পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী।
শাহাজান খান বলেন, ‘আপনি ঘুঘু দেখেছেন, ফাঁদ দেখেননি। শ্রমিকরা জীবন বাঁচানোর যুদ্ধে নেমেছে। হরতাল, পেট্রলবোমা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের এ যুদ্ধ চলবে।’
তিনি বলেন, সাচ্চা পাকিস্তানিদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে পাকিস্তানে পাঠানো হবে। সেই তালিকায় সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর নামও রয়েছে।’
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। ২০ দলের বিষাক্ত ছোঁবলে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
‘পেট্রলবোমা মেরে শ্রমিক ও নিরীহ মানুষ হত্যাসহ জ্বালাও পোড়াও’-এর প্রতিবাদে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসমত কাদির গামা, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সেলিনা আক্তার প্রমুখ।