করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আট দিন শিথিল করেছে সরকার। শিথিল বিধিনিষেধে গণপরিবহন, শপিংমল ও দোকান খোলা থাকলেও এই সময়ে সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রে যাওয়া যাবে না। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে বলা হয়েছে।
বুধবার এক তথ্য বিবরণীতে এই নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। তবে ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। তখন অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সব শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে। চলমান বিধিনিষেধে খোলা রয়েছে শিল্পকারখানা।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদের আগে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিধিনিষেধ শিথিলের এই সময়ে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নামেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন তারা। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামলা ও জরিমানা গুণতে হয়েছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় দ্বিতীয় ধাপে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন বাড়ানো হয়। দেশে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ রাত ১২টায়।