নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরি তথা সেজান জুসের কারখানায় আগুনে পুড়ে মৃতদের লাশ পেতে কমপক্ষে এক মাস অপেক্ষা করতে হবে পরিবারকে। কারণ লাশ শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করতে হচ্ছে। আর এতে সময় লাগবে কমপক্ষে একমাস। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হবে লাশের পরিচয়। এরপরই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশের সিআইডি ফরেনসিক ইউনিটের কর্মকর্তা ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায় গণমাধ্যমকে। এর আগে দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয় রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় আগুনে পুড়ে কয়লা হওয়া ৪৯টি লাশ। মর্গে রাখা হয়েছে লাশগুলো। সেখান থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ফরেনসিক দল। একই সাথে লাশের দাবিদার স্বজনদের নমুনাও সংগ্রহ করছে তারা।
যারা লাশ খুঁজছেন কিন্তু এখনো ডিএনএ নমুনা দেননি, তারা ঢাকা মেডিক্যালে গিয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে নমুনা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তাফিজ মনির।
এদিকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তিনজন হাসপাতালে মৃত্যু ও ৪৯ জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো: মিজানুর রহমান। লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।