রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়ে ২৮ বছর পর ইউরো ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠে এসেছে ডেনমার্ক। শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারায় ড্যানিশরা।
ইউরোতে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ডেনমার্ক। সেটা ১৯৯২ সালে। এরপর একবার (২০০৪) কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও সেমি ছিল ধরাছোয়ার বাইরে। এবার সেই স্বপ্ন হলো পূর্ণ। অন্যদিকে ২০০৪ সালের পর সেমিতে উঠার হাতছানি ছিল চেক প্রজাতন্ত্রেরও। কিন্তু পারলো না ১৯৭৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। অথচ শেষ ষোলোয় ইতিহাস গড়ে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল তারা।
বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। কর্ণার কিকে দারুণ এক হেডে চেক প্রজাতন্ত্রের জাল কাপান থমাস ডিলানি। আয়ত্তের মধ্যে থেকেও কিছুই করতে পারেনি চেক গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডেনমার্ক। বা প্রান্ত থেকে দারুণ ক্রসে নয়নকাড়া প্লেসিং কাসপার ডলবার্গের। এবার চেক গোলরক্ষকের আসলে কিছুই করার ছিল না। বল চলে গেল জালে, চেয়ে চেয়ে দেখলেন তিনি।
দুই গোল হজম করা চেক প্রজাতন্ত্র দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পায় প্রথম গোলের দেখা। ৪৯ মিনিটে ডেনমার্কের জাল কাপান প্যাট্রিক চিক। ব্যবধান কমে আসে ২-১ এ।
ম্যাচের বাকি সময়ে চেক প্রজাতন্ত্র গোল শোধে বেশকটি আক্রমণ চালিয়েছে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। কখনো পোস্ট, কখনো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোলরক্ষক। নক আউট পর্ব থেকে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল হওয়ার রীতিটা কাজে লাগাতে পারেনি চেক। অতিরিক্ত ৬ মিনিটেও তাই কয়েকটি আক্রমণ যায় বিফলে চেক শিবিরের। শেষ হাসি হাসে ডেনমার্ক। বিদায় নিতে হয় শেভচেঙ্কো শিবিরের।
অথচ পুরো ম্যাচে প্রায় সব দিক থেকে এগিয়ে ছিল চেক প্রজাতন্ত্রই। শতকরা ৫৬ ভাগ বল দখল ছিল তাদের। তবে পোস্টে শট নেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। ১১টি শটের মধ্যে সাতটি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে ১৬টি শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল চেক প্রজাতন্ত্র। চেক যেখানে ৯টি কর্ণার আদায় করেছিল, সেখানে ডেনমার্ক কর্ণার পায় সাতটি।
আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ডেনমার্ক। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইউক্রেন-ইংল্যান্ডের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ী দল।