খেলা; চিলির বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে পৌঁছালো ব্রাজিল। শনিবার রিও ডি জেনেইরো স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জয় পায় তিতের দল। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা।
চিলির বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে নামে ব্রাজিল। আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে ছিলেন না নেইমার-কাসেমিরোরা। এদিকে চিলির দলে ফিরেন এরিক পুলগার, সেবাস্তিয়ান ভেগাস। দলের সেরা তারকা অ্যালেক্সিস সানচেজও ফিরেন চোট সারিয়ে। দু’দলের লড়াইও হয় জমজমাট। গোটা ম্যাচে ৪১ শতাংশ বল দখলে রেখে ১০টি শট নেয় ব্রাজিল, যার লক্ষ্যে ছিল ৫টি।
অপরদিকে ৫৯ শতাংশ বল দখলে রেখে ১১টি শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে রাখে চিলি।
ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথম আক্রমণের সুযোগ পায় ব্রাজিল। এসময় ডি-বক্সের বাইওে থেকে শট নেন সেবাস্তিয়ান ভারগাস। তবে সরাসির আসা বল সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এদেরসন।
পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দূরপাল্লার শট নেন রিশার্লিসন। ব্রাজিল ফরোয়ার্ডেও শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ক্লাদিও ব্রাভো।
২২তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে নেইমারের ক্রসে বল পেয়ে বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রবার্তো ফিরমিনো।
২৭তম মিনিটে এদুয়ার্দো ভারগাসের শট ঝাপিয়ে ফিরিয়ে দেন ব্রাজিলের ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক।
৩৭তম মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের বাড়ানো বলে নেইমারের ফ্লিক ফ্রান্সিসকো সিয়েরালতার পায়ে েেগ ব্যর্থ হয়। এর ছয় মিনিট পর জেসুসের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ব্রাভো।
বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ৪৬তম মিনিটে নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন পাকুয়েতা। বিরতির পর ফিরমিনোর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন পাকুয়েতা।
৪৯তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। হাই ফুটে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু তার বুট গিয়ে লাগে ইউজেনিও মেনার মুখে। বিপজ্জনক ফাউলের জন্য লাল কার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি।
৬২তম মিনিটে অফসাইডের কারণে গোল পায়নি চিলি। চার মিনিটের ব্যবধানে গোল করার সুযোগ পান নেইমার। প্রতি আক্রমণে বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন পিএসজি স্ট্রাইকার। কিন্তু তার শট সহজেই ফিরিয়ে দেন ব্রাভো।
৬৯তম মিনিটে ভাগ্যেও জোওে বেঁচে যায় ব্রাজিল। মেনার দারুণ ক্রসে ব্রেন বেরেটনের হেডে লাফিয়েও হাত ছোঁয়াতে পারেননি এদেরসন। ক্রসবাওে লেগে বল ফিরে আসে।
সেমিফাইনালে পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকাওে প্যারাগুয়েকে হারায় পেরু।