ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলায় ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় কমিশন। অনুমোদনের বিষয়ে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাস, একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, সাবেক যুগ্ম সচিব বিজন কান্তি সরকার, মন্ত্রণালয়ের ক্যাশিয়ার মুনসুর আলম এবং হিসাব সহকারী মতিয়ার রহমান।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালে আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেন। ওই সময় গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন মির্জা আব্বাস।
১৮ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সাত একর সম্পত্তি ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে বরাদ্দ দিয়ে সরকারের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৬ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা (মামলা নং-১১) দায়ের করা হয়। তদন্তেও এ টাকা আত্মসাতের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ অভিযোগে আলমগীর কবির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) মো. আজহারুল হক, মুনসুর আলম ও মতিয়ার রহমানকে মামলায় আসামি করা হয়। মামলা পরবর্তী তদন্তে আজহারুলকে বাদ দেওয়া হয় এবং মির্জা আব্বাসের নাম যুক্ত করে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক।
শিগগিরই আদালতে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।