ইসমাইল হোসেন, গাজীপুরঃ আজ সোমবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী ঢালে অবস্থিত গাজীপুর ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিক খোলা থাকলেও রোগি ভর্তি বন্ধ আছে। ক্লিনিকের আয়া রহিমা বেগম জানান, রোগি নাই হাসপাতাল খোলা। হাসপাতালের মালিক শাহ্ আলম জানান, প্রশাসনের নির্দেশে হাসপাতালে আপাতত রোগি ভর্তি বন্ধ আছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় সম্প্রতি,জনৈক এমবিবি এস ডাক্তার জাহিদ হোসেন (৩৩ তম ব্যাচ) তার ভাবি (পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী) কে সিজার করানোর জন্য গাজীপুর ক্লিনিকে ভর্তি করেন। রাতে বাচ্চা হওয়ার পর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য জরুরী ডাক্তার পাওয়া যায়নি। ডাক্তার জাহিদের উপস্থিতিতে একজন ওটি বয় ডাক্তারের সেবা দেয়ায় ডাক্তার জাহিদ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে রাতে জরুরি ডাক্তার না পেয়ে ক্লিনিক থেকে জরুরী ডাক্তারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন ডাঃ জাহিদ। কিন্তু জরুরি ডাক্তারের নাম্বারে ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করে ওপাশ থেকে বলা হয়, আমি ডাক্তার ফাক্তার না মাছ ব্যবসায়ী চান মিয়া আমি ঢাকা থেকে বলছি।
পরবর্তী সময় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি তদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তার মাহমুদা আক্তার কে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটি হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়।
এই রিপোর্ট লেখার পর্যন্ত গাজীপুর ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ ছিল।