রেকর্ড গড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালি

Slider খেলা

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে নেই গোলের দেখা। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় দুই গোল পেল ইতালি। শেষের দিকে এক গোল শোধ করে ম্যাচে রোমাঞ্চ আনল অস্ট্রিয়া। তাতে অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ৮২ বছরের পুরোনো রেকর্ড গড়ে ইউরো ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আজ্জুরিরা।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে শেষ ষোলোয় ২-১ গোলে অস্ট্রিয়াকে হারিয়েছে ইতালি। দারুণ এই জয়ে ৮২ বছরের পুরনো একটি রেকর্ড ভেঙেছে ইতালি; নিজেদের ইতিহাসে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড। এই নিয়ে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত রইল দলটি। দলটি সবশেষ হেরেছিল ২০১৮ সালে, পর্তুগালের বিপক্ষে নেশন্স লিগে। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত সময়ে ৩০ ম্যাচে অপরাজিত থেকে আগের রেকর্ডটি গড়েছিল তারা।

গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে জাল অক্ষত রেখে সাত গোল করা ইতালি জিতলেও হজম করেছে একটি গোল। ১১৬৮ মিনিট পর এই প্রথম গোল করলো দলটি।

১৭ মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ইতালি। নিকোলো বারেল্লার শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক বাখমান। হারের তেতো স্বাদ ভুলতে বসা ইতালি প্রথমার্ধে তাদের সেরা সুযোগটি পায় ৩২ মিনিটে। কিন্তু চিরো ইম্মোবিলের ডি-বক্সের মুখ থেকে নেওয়া শট বাধা পায় পোস্টে।

প্রথমার্ধ জুড়ে আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত অস্ট্রিয়া ৫৬ মিনিটে প্রথম একটা হাফ-চান্স পায়। তবে আলাবার ফ্রি কিক ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। ৬৫ মিনিটে ইতালিকে হতবাক করে দিয়ে হেডে জালে বল পাঠান মার্কো আর্নাউতোভিচ। তবে অল্পের জন্য তিনি অফসাইডে থাকায় বেঁচে যায় ১৯৬৮ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে জোড়া পরিবর্তন করেন ইতালি কোচ মানচিনি। ইম্মোবিলে ও দমিনিকো বেরার্দিকে তুলে নামান আন্দ্রেয়া বেলোত্তি ও চিয়েসাকে। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।

পঞ্চম মিনিটে লিড নেয় ইতালি। স্পিনসোলার ক্রস ছয় গজ বক্সের ডান দিকে পেয়ে হেডে নামিয়ে ডান পায়ের ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে গোলটি চিয়েসা। ১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেস্সিনা।

১১৪ মিনিটে দারুণ হেডে স্কোরলাইন ২-১ করেন অস্ট্রিয়ার কালাজিচ। ম্যাচে আসে উত্তেজনা। কিন্তু শেষ হাসি ইতালির। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার আনন্দে মাঠ ছাড়ে মানচিনি শিবির। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইতালির প্রতিপক্ষ পর্তুগাল-বেলজিয়ামের মধ্যে জয়ী দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *