নোয়াখালীঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, ঘরের শত্রু বিভীষণ। আজকে ঘরের শত্রু আমাকে শেষ করে দিচ্ছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আজকে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কী জন্য নিয়েছে, সেটাও খুঁজে পেয়েছি। আমি ওনার এবং ওনার স্ত্রীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথাগুলো বলব। এত ন্যাক্কারজনক, এত ছোট মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি, আমার পরিবারে আমার আত্মীয়-স্বজন ইতোমধ্যে সবাইকে অর্থ দিয়ে মন্ত্রীত্বের প্রভাব খাটিয়ে আমার বিপক্ষে নিয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘আপনি যেমন বাইরের কারো কারো সহযোগিতায় এখানে রাজনীতি করেন। আমরাও পিছিয়ে নেই। স্পষ্ট ভাষায় বলে দিচ্ছি। চোখ রাঙাবেন না, মুখ সামলান, যা ইচ্ছা করবেন তা হতে পারে না। একরাম ও নিজামকে কে নোয়াখালী ফেনীর রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছে। আমার নানা কী শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন? আমার আব্বা কী রাজাকার ছিলেন। আপনি ‘ডোন্ট মাইন্ড’ ফ্যামিলির ছেলে। আপনি মেনে নিতে পারেন। আমি মেনে নিতে পারি না। আমি যদি বেঁচে থাকি এর প্রতিশোধ আমি নেব। আপনি পারবেন না। একরাম আজকে বলে আমি ওবায়দুল কাদেরকে মাসোহারা দেই। নিশ্চয় কোথাও আপনার দুর্বলতা আছে।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘কী করবেন আমাকে জেল দেবেন। দেন, অভ্যাস আছে। আপনি রেডি হন, সময় মতো যাবেন। আপনি আমাকে ঢুকাবেন, আপনি বুঝি বেঁচে যাবেন। আমাকে মেরে ফেলবেন। আমি রেডি করে যাবো। কারে রেডি করে যাবো বলতে পারবো না। তাদের পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছি। তিনজনের নাম বলেছি। আমাকে মারলে, তিনজনকে মেরে ফেলবি। আপনি, আপনার বউ আর একরাম। তিনটাকে মেরে ফেলবি। জেলে দিক, আমাদেরকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিছে বলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, করবে জানি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাতবার আমাকে মারার পরিকল্পনা করেছে। আপনার কাছে কোনো বিচার পাইনি। আমি প্রশাসনকে বলছি তারা টাকা পয়সা খেয়ে সরে গেছে। এটাতো আমি বুঝি, আপনি আমাকে মারতে চান। আপনার স্ত্রীকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, এটা স্পষ্ট। আপনি মেরে ফেললে মেরে ফেলেন। আমি আপনার স্ত্রীর ভোট করতে পারব না। আমিও আর কখনো ভোটে দাঁড়াবো না। আমি কোনো ভোটে দল থেকে নোমিনেশন চাইলে জিহ্বা কেটে দেবেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব ৬ থেকে ৭ জন ছাড়া এরাকি আমার বিরুদ্ধে যায়। সব আপনি নিছেন। আমার কাছে প্রমাণ আছে। আমি একটা একটা করে প্রমাণ করে দেব। না করতে পারলে হিজরত করবো। আমি আপনার বিরুদ্ধে এমনিই বলছি না। ভাই ভাইয়ের বিরুদ্ধে কখন বলে। যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। তখন বলে, এর আগে বলার সুযোগ থাকে না। আপনাকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। আপনার স্ত্রীর কারণে। কোথায় যান দেখবেন।’