দেশে উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকার কারখানা গোপালগঞ্জে স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, উৎপাদন সময়সাপেক্ষ হলেও ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার লকডাউনের ওপর নির্ভরশীল হতে চায় না। কিন্তু লকডাউন দিতে হয় বাধ্য হয়ে। যদি আপনার হাতে ভ্যাকসিন না থাকে তাহলে লকডাউনই করোনা সংক্রমণ রোধে একমাত্র কার্যকরী পন্থা’। তিনি বলেন, বিশ্বের সবাই লকডাউন দিয়ে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা লকডাউন চাই না। লকডাউনের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি হয়। দেশের বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়। কাজেই এটা আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু মানুষের জীবন রক্ষার্থে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউন আমাদের দিতে হচ্ছে।’
এসময় দেশের ভ্যাক্সিনপ্রাপ্তি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে তিন কোটি ভ্যাকসিন ক্রয়ের চুক্তি হলেও এখন পর্যন্ত ১ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে দেড় কোটি ভ্যাকসিন চুক্তি ছাড়াও কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ভ্যাকসিন বুকিং দেওয়া হয়েছে। সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।