ঢাকাঃ নিজের সাথে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনা নিয়ে সোমবার থানায় অভিযোগ করেছেন পরীমনি। এরপরই পুলিশ তার বাসায় গিয়ে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছেন।
সোমবার ভোরে রূপনগর থানা পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগটি করেন। অভিযোগে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার বিষয়টি লিখিতভাবে উপস্থাপন করেছেন। রূপনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা পরীমনির বাসায় গিয়ে তার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেছি ও বক্তব্য নিয়েছি। তিনি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। আমি সেই অভিযোগ সাভার থানার কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। তারা এবিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, পরীমণি পুলিশের প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত সেবা পাবেন। উপযুক্ত বিচার পাবেন।
রোববার রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, তাকে হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি পরীমণি। এ দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
পরে রাত ১০টার দিকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রী। জানালেন ঘটনার বিস্তারিত। তিনি বলেন, বুধবার রাতে উত্তরার বোট ক্লাবে ঘটনাটি ঘটে।’
পরীমনি বলেন, এমন ঘটনায় সাধারণ মেয়েরা প্রথমে কোথায় যায়? থানায় যায়। আমিও থানায় গিয়েছি। আমি বারবার বলেছি, ঘটনাটা যদি নিজের সাথে না ঘটে তাহলে কেউ বুঝবে না। ওইদিন পর্যন্ত কি তবে অপেক্ষা করবেন?
কী ঘটেছিল সেটা জানতে চাই, আপনি নির্ভয়ে বলুন, উপস্থিত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পরীমণি বলেন, ‘আমার মুখটা সাদা কাপড়ে ঢাকা পড়লেই কেবল বুঝতেন। আমি চার দিন ধরে কারও সাপোর্ট পাইনি। আপনারা সত্যিটা খোঁজেন।’
পরীমণি আরও বলেন, ‘সাধারণ কোনো মেয়ের হলে সে খবর হয়তো আপনাদের কাছে পৌঁছায় না। সাংবাদিকদের কাছে খবর পৌঁছানো হয় না। আমার মতো যখন কোনো মেয়েকে ভয় দেখানো হয় তখন সাধারণ মেয়ের খবর তো পাবেন না!’
তিনি বলেন, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তার এক বন্ধু (অমি) বাসায় আসেন। বাসা থেকে তাকে উত্তরার বোট ক্লাবে (ঢাকা বোট ক্লাব) নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জিমি (ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী)। বোট ক্লাবে যাওয়ার পর সেখানে সাত/আটজনের একটা গ্রুপ ছিল।
পরী বলেন, ওইখানে উপস্থিত সাত/আটজন আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। আমাকে আটকে ফেলে। জোর করে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা করে। জিমিকে মারধর করা হয়। অশ্লীল নানা কথাবার্তা বলা হয়। মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়।’