ঢাকা: সারা দেশের ১২ জেলায় বজ্রপাতে ২৩ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
রোববার (৬ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, ফেনী, মাদারীপুর, চুয়াডাঙ্গা নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, পটুয়াখালী, মানিকগঞ্জ, নাটোর, মেহেরপুর ও বরিশালে এ ঘটনাগুলো ঘটে।
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- উল্লাপাড়া উপজেলার আগদিঘল গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদুল ইসলাম, বেলকুচির চর সমেশপুর গ্রামের লাইলি বেগম, সলঙ্গার আঙ্গারু গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শাহজাদপুর উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা ও বাতিয়া গ্রামের কৃষক আলহাজ পণ্ডিত।
উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, ফরিদুল মাঠে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলো। পথে আগদিঘল গ্রামের কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতের কবলে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসিবুল হক হাসান জানান, চর আঙ্গারু গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় কৃষক জুয়েল রানা বজ্রাঘাতে মারা যান।
একই উপজেলার নরিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক জানান, বজ্রপাতে আলহাজ পণ্ডিত নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, নিজেদের বাড়ির পাশে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান লাইলী বেগম।
সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, মাঠের মধ্যে নিজের খামারে হাঁস পালন করার সময় বজ্রপাতে মারা যান রফিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম: নিহত ৫
চট্টগ্রামের মিরসরাই ও বোয়ালখালীতে বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্র ও এক দিনমজুরসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একইদিনে ফটিকছড়িতেও মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সীতাকুণ্ডে বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় শুধুমাত্র বজ্রপাতে একদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হলো।
রোববার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ের গরজংগিয়া এলাকায় লেবু বাগানে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মো.জাহাঙ্গীর (৩৯) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়। জাহাঙ্গীর ওই এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা কামালের ছেলে।
একইদিন সকাল ১০টার দিকে মিরসরাইয়ের সাহেরখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর পূর্ব ডোমখালী ওয়ার্ড এলাকায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে সাজ্জাদ হোসেন (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা মো. মোশারফ হোসেন আহত হয়েছেন।
এদিকে বিকেল ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বার আউলিয়া এলাকায় শিপইয়ার্ডে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মো. জলিল আহাম্মদ (৪০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
জলিল আহাম্মদ একই এলাকার হাফিজ জুট মিল কলোনি গেইট হাজি আব্দুল কাদেরের বাড়ির মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, মানিক নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন শিপ ইয়ার্ডে মো. জলিল আহাম্মদ কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন বিকেল ৪টার দিকে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে ফটিকছড়িতে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ভানুমতি শীল (৪০) ও লাকি রানি দাশ (৩৮) নামে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দুইজন আহত হন। তারা বর্তমানে সুস্থ আছেন।
পটুয়াখালী: নিহত ২
পটুয়াখালীর সদর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
মজিদবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরওয়ার কিচলু জানান, মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের সেরজন আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল জলিল বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়ি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের মৃত মোনসের হাওলাদারের ছেলে মজিবার হাওলাদার (৩০) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।
ফেনী: নিহত ২
ফেনীর সোনাগাজীতে বজ্রপাতে মাদ্রাসাছাত্রী সাজেদা আক্তার সাথী (১৫) ও আল-আমিন (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে বগাদানা ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামের আনু ফরাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামে বজ্রপাতে শিরিন আক্তার (১০) ও আকবর হোসেন (১৫) নামে দুইজন আহত হয়।
মৃত ছাত্রী সাজেদা আলামুর গ্রামের আনু ফরায়েজি বাড়ির মো. সোলেমানের কন্যা। সে কাটাখিলা সামাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা দশম শ্রেণির ছাত্রী। মৃত শিশু আল-আমিন সম্পর্কে তার ফুফাতো ভাই। সে চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী গ্রামের বাহার উল্যাহর পুত্র। আল-আমিন নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।
বগাদানা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন বাবুল জানান, সাজেদা আক্তার ও তার ফুফাতো ভাই আল-আমিন সকাল ১০টার দিকে একটি ছাতা নিয়ে পাশের ঘরে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে একই সময় দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামে বাড়ির আঙিনায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে শিরিন আক্তার ও আকবর হোসেন আহত হয়। তাদেরকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিরিন আক্তার চরচদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামের আবুল কাসেমের কন্যা, আকবর হোসেন একই গ্রামের আবু নাছেরের ছেলে।
বগাদানা ইউপি চেয়ারম্যান ক খ ম ইসহাক খোকন ছাত্রীসহ বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জ: নিহত ২
মানিকগঞ্জের ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় এক কলেজছাত্রসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মারা যান তারা।
নিহতরা হলেন- ঘিওর সদর এলাকার মুক্তার হোসেনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে শাহীন হোসেন (১৮) ও দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের চরভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪০)।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ আহম্মেদ বিপ্লব বলেন, ঘিওর উপজেলার বৈলত গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে শাহীন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহীন তার মায়ের সঙ্গে খেতে ধান কাটছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে শাহীন মারা যান। তবে শাহীনের মায়ের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানান পুলিশের ওই কর্তকর্তা।
এদিকে, দৌলতপুরের বাচামারা এলাকায় গোলাম মোস্তফা নামে এক মহিষের গাড়িচালক বাদাম বোঝাই করে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান।
বাচামারা ৪নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রমজান আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাদারীপুর: নিহত ১
মাদারীপুর জেলার শিবচরে বজ্রপাতে আয়শা বেগম (৪৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের হাওলাদারকান্দি বালুরটেক এলাকায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ আয়শা বেগম ওই এলাকার ছোরফান হাওলাদারের স্ত্রী।
জানা যায়, বিকেলে বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের ক্ষেতে ঢেঁড়স তুলতে যান আয়শা। ঢেঁড়স তুলে বাড়ি ফেরার সময় বৃষ্টি শুরু হয়। তখন বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, বিকেলে বৃষ্টির সময় ঘরের বাইরে গেলে বজ্রপাতে ওই নারীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ইদানিং বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাতের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এসময় সবাইকে ঘরে নিরাপদে থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা: নিহত ১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে কোরবান আলী নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার রুইথনপুর গ্রামের দক্ষিণ মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কোরবান আলী (৪০) একই উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের মৃত ফকির আলীর ছেলে।
স্বজনরা জানান, সন্ধ্যায় গ্রামের দক্ষিণ মাঠে কচুর ক্ষেতে সার দিচ্ছিলেন কোরবান আলী। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই কোরবান আলীর মৃত্যু হয়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়।
চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বিপ্লব জানান, রাতেই কোরবান আলীকে দাফন করা হয়েছে।
নোয়াখালী: নিহত ১
জেলার হাতিয়ায় ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মো. আবদুল মান্নান খোকন (৩৬) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
দুপুর সাড়ে ৩ টায় উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মাইসচরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খোকন একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমদ মুন্সীর ছেলে।
মুন্সিগঞ্জ: নিহত ১
জেলার সিরাজদিখানে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে অপূর্ব বর্মন (১৯) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। বিকেল ৪টায় উপজেলার শেখরননগর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুজন।
নিহত অপূর্ব উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের জেলেপাড়া গ্রামের স্বপন বর্মনের ছেলে ও আলী আজগর অ্যান্ড আব্দুল্লাহ কলেজের এইচএসসির পরীক্ষার্থী।
বরিশাল: নিহত ১
বিকেল বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রামে বজ্রপাতে নান্টু বালী (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার ইউনুস বালীর ছেলে।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শওকত হোসেন নান্টু জানান, বিকেলে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে একাধিক বজ্রপাত হয়। এ সময় নান্টু বালী নিজ ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে স্মার্ট ফোনে ভিডিও দেখছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে নান্টু বালী ও তার কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিবেশী মো. সুমন গুরুতর আহত হন।
তিনি জানান, পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই নান্টু বালীর মৃত্যু হয়য়। গুরুতর আহত সুমনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাটোর: নিহত ১
নাটোরের সিংড়ায় বজ্রপাতে মো. রাসেল (২২) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে উপজেলার কলম কাজিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাসেল একই উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের আলাদী গ্রামের মো. ওসমান আলীর ছেলে।
সিংড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আল-আমিন জানান, বিকেলে রাসেল তার নানা বাড়ি কলম কাজিপাড়া থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর: নিহত ১
বজ্রপাতে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের পুরুন্দরপুর গ্রামে ফরিদ নওদা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদ ওই গ্রামের মৃত বকস নওদারের ছেলে।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাশিম জানান, সন্ধ্যার দিকে বাড়ি পার্শ্ববতী মাঠে গো-খাদ্য ঘাস কাটছিলেন ফরিদ। এ সময় বৃষ্টির শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হন তিনি। এ সময় মাঠটিতে থাকা অন্য কৃষকরা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।