বিচার কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যেই জুডিশিয়ারি প্রকল্পের আওতায় দেশের সামগ্রিক বিচারে ডিজিটালাইজড করা হবে। দেশের প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্টে পরিণত করা হবে এবং আটককৃত দুর্ধর্ষ আসামিদের আদালতে হাজির না করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করা হবে। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সকল কার্যক্রমকে অটমেশন নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। আদালতে বিচারাধীন মামলার শুনানির তারিখ, ফলাফল এবং পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিচারপ্রার্থীদের শিগগিরই এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। এরপর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৮১৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জন্য ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
গত তিন বছরের বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৬শ’ ৩২ কোটি টাকা।
২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল এক হাজার ৭শ’ ৩৯ কোটি টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৮১৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় একশ’ ৭ কোটি টাকা বাড়ানো হয়।
২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ২২২ কোটি টাকা। পক্ষান্তরে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে এ বছর বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৩ কোটি টাকা।
আইন সংশ্লিষ্টদের দাবি, আইন ও বিচার বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা একেবারেই অপ্রতুল। দেশের সুশাসন নিশ্চিতে বিচার বিভাগের জন্য বাজেট বাড়াতে হবে। কথা হয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মো. ফারুক হোসেনের সঙ্গে। তিনি মানবজমিনকে বলেন, অন্য অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাইতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয় আইন ও বিচার বিভাগ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বরাদ্দ কম। এমনটি হলে দেশের বিচার ব্যবস্থা এর চাইলে ভালো হবে কিভাবে?