বাড়ির নকশা অনুমোদন করতে এখন থেকে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শহরে বা গ্রামে যেখানেই আপনি বাড়ি করতে যান আপনার টিআইএন নিতে হবে। এতে বাড়ির মালিক করের আওতায় আসবে। এছাড়া যেকোনো সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিধান আরোপ করেছেন। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘করজাল সম্প্রসারণে বাড়ির নকশা অনুমোদন ও সমবায় সমিতির নিবন্ধনে টিআইএন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের নিয়ে কোনো সমবায় সমিতি করলে সেটির নিবন্ধন নিতে হলেও টিআইএন গ্রহণ করতে হবে।’
এবারের বাজেটের আকার প্রস্তাব করা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট।
আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ও গ্লাভস পরে অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেন।