ম্যাচের আগে শ্রীলঙ্কার প্রোটিয়া হেড কোচ মিকি আর্থার বলেছিলেন, জয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাই। মাঠের খেলায় তেমনটাই দেখালো তার শিষ্যরা। সিরিজের পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট পেলো না বাংলাদেশ। শুক্রবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৯৭ রানে হারালো সফরকারী শ্রীলঙ্কা। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে শ্রীলঙ্কার ২৮৬/৬ সংগ্রহের জবাবে ৬ ওভার ও ৩ বল বাকি রেখে ১৮৯ রানে গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৫৩ রান আসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। ৬৩ বলের ইনিংসে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান মাহমুদুল্লাহ।
থিতু হয়ে ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলকে বিপদে রেখে আউট হলেন ৫১ রান করে।
তার আউটে ভাঙ্গে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে গড়া ৪১ রানের জুটি।
এ প্রতিবেদন খেলা পর্যন্ত ৩৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৪ রান। জিততে হলে ১৫ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৩৩ রান। হাতে আছে পাঁচ উইকেট। মাহমুদুল্লাহ ৩২ রানে, আফিফ হোসেন ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
আগের দুই ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহীম আজও শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন। চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়েন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ক্রিজে সেট হয়ে যখন বড় শট খেলতে শুরু করবেন, ঠিক তখনই রামেশ মেন্ডিসের বলে কাটা পরেন মুশিফক। ৫৪ বলে ২৮ রান করেন আগের ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ান। তার বিদায়ে ৮৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে আবারো চাপে পরেছে বাংলাদেশ।
দলীয় ২৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাকে উইকেটরক্ষক ডিকওয়ালার ক্যাচে পরিনত করেন দুষ্মন্ত চামিরা। ২৯ বলে ২ চারে ১৭ রান করেন তামিম। প্রথম তিন উইকেটই দখলে নিয়েছেন এই পেসার।
তামিমের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে জুটি গড়তে ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
দুই ম্যাচে ব্যর্থ লিটনকে বসিয়ে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে একাদশে নিয়েছেন বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তরুন এই ওপেনারও সুবিধা করতে পারলেন না। ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নাঈম ফিরেছেন প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান করে। টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসানও । প্রথম ম্যাচে ১৫, দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্যের পর তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ৪ রান করেছেন সাকিব।
এর আগে টসে জিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৮৭ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। লঙ্কান অধিনায়ক পেরেরা করেন ১২০ রান। এছাড়া ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন নিরশান ডিকওয়ালা। বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ চারটি ও শরিফুল নেন এক উইকেট।