গাজীপুরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী

Slider বাংলার আদালত

গাজীপুর: র‌্যাবের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কথিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী।

আজ শুক্রবার গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন নাহারের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শুভাশিষ ধর সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ৭ এপ্রিল নেত্রকোনায় নিজ বাড়ি থেকে মাদানীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আটকের সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এসব মোবাইলে বেশ কিছু বিদেশি পর্নোভিডিও পাওয়া যায়। আটকের পরদিন তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। র‌্যাব-১ মামলাটির তদন্ত করছিল।

গাজীপুরের বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন মাদানী। ওই ঘটনায় ৭ এপ্রিল দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে গাছা থানায় র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন; তথ্য উপাত্ত ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা ও বাসন থানা ছাড়াও ঢাকার তেজগাঁও থানায় মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে মাদানীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। ওইসময় বিক্ষোভ ও হেফাজতে ইসলামের হরতাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ব্যাপক সহিংসতা হয়। মাদানীর ওয়াজে সহিংসতার উসকানি ছিল বলে দাবি করেছে র্যা ব। মাদানীর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *