ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ দুপুর ১২ টা নাগাদ ডামরার ও বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম শুরু করছে। এটি আরো উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে পরবর্তী ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ হয়ে রয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি এসব অঞ্চলে ঘন্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, রোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৬ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সূত্র : বাসস