ভোলা (উত্তর): ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদী। তবে আবহাওয়া এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস বইছে। তীরে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার নৌকাগুলো।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবীরা। অন্যদিকে ভোলায় উপকূলের ৩ লাখ ১৮ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা। জেলার সাত উপজেলার ৪০টি দ্বীপ-চরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার এ প্রস্তুতি নেওয়া হয়ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।
তিনি জানান, ঝড় মোকাবিলায় জেলার ৭০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে ৭৬ টি মেডিকেল টিম। অন্যদিকে সিপিপি’র ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও রেডক্রিসেন্ট এবং স্কাউটস কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম।
এসময় ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় জেলা ভোলাতে ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়াও প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায়ও আলাদা দল গঠন করা হবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি টিম ও স্বাস্থ্যবিভাগের অন্তত ২০০ কমিউনিটি ক্লিনিক।