ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ। আদালত বলেছেন, ধর্ষণের মামলায় আগাম জামিনের ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে না। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ গতকাল রবিবার ধর্ষণ মামলায় আগাম জামিন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একটি ধর্ষণ মামলার আসামি হাবনের জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানিকালে উল্লিখিত মন্তব্য করেন এবং জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দনাথ বিশ্বাস।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দনাথ বিশ্বাস আদালতে বলেন, ২২ বছরের এক নারীকে ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর দুই দিন পর ৩১ আগস্ট মামলা হয়। এই মামলার চার বছর পর আসামি ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আত্মসসমর্পণ করে আগাম জামিন নেয়। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ধর্ষণের মামলায় হাইকোর্ট কিভাবে আগাম জামিন দেয়? রাজনৈতিকভাবে হয়রানি শিকার ব্যক্তিদের জন্য আগাম জামিনের বিষয়ে আমরা গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছি।
আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আগাম জামিন প্রশ্নে সুনির্দিষ্টভাবে গাইডলাইন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এরপর…। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, জঘন্যতম অপরাধ। আগাম জামিন দেয় কিভাবে?
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীকে খুশি করতে আগাম জামিন দিবেন দিন। তবে সেটা হতে হবে আইনমাফিক। এর পর আপিল বিভাগ আসামির জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন।