করোনাভাইরাসের শনাক্তের হার বাড়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আগামী ১০ দিন কঠোর লকডাউন ঘোষণা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে উপজেলাটিতে সব রকম যাতায়াত বন্ধ থাকবে। আজ শুক্রবার থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত এই কড়াকড়ি বলবৎ থাকবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এ লকডাউন বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সীমান্ত ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় টেকনাফে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষের আগমণ হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে টেকনাফে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টেকনাফে ১০ দিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘লকডাউন চলাকালে কেউ টেকনাফ উপজেলার বাইরে যেতে পারবে না। তেমনই বাইরে থেকে কেউ টেকনাফে ঢুকতে পারবে না। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার টেকনাফ উপজেলায় মাইকিং করে বিষয়টি জনসাধারণকে অবহিত করা হয়েছে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টেকনাফ সীমান্ত উপজেলার সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতদিন লকডাউন তদারকি দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান ইউএনও পারভেজ চৌধুরী।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে হঠাৎ করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের শিবিরগুলো। তাই উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি শিবিরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত।
রেজওয়ান বলেন, ক্যাম্পে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওষুধ ও ফুডসের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের ক্যাম্পে ৮২৩ জন রোহিঙ্গার দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১২ জন মারা গেছেন।