ঢাকা: দেশের উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তরের সঙ্গে সাত মাস আগে জুড়ে দেওয়া হয়েছে দুটি শব্দ-ভেটেরিনারি হাসপাতাল। এখন নামকরণ হয়েছে ‘উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল’। কাগজে-কলমে হাসপাতাল হলেও এর জন্য আলাদা কোনো জনবল নেই। এরপরও ৩৫টি উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের নামে দেড় বছর আগে কেনা হয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার মেশিনারিজসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। লোকবলের অভাবে যেগুলো কাজে আসেনি।
একইভাবে উপজেলা পর্যায়ে কোনো প্রশিক্ষণ হল না-থাকলেও প্রশিক্ষণ রুমের নামে এক কোটি ৬০ লাখ টাকার ফার্নিচার কেনা হয়েছে। কিন্তু যেসব ফার্নিচার কেনার কথা বলে টাকা খরচ করা হয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে বুঝে পাননি সংশ্লিষ্টরা। দুই হাজার ৬৮১ মাঠ-কর্মচারীর (অফিসে সিল হিসাবে পরিচিত) ব্যবহারের জন্য সমানসংখ্যক ট্যাব কেনা হয়েছে বাজারদরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে।
এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে চার কোটি টাকার বেশি। এভাবে বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটায় কয়েক কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় চলমান ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচার প্রজেক্ট-এনএটিপি-২ প্রকল্পে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ গড়িয়েছে মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে মিলেছে উল্লিখিত সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ পাওয়ার পর এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিক আরিফকে। তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি এসেছে। এখন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নথিতে উপস্থাপনের পর ঊর্ধ্বতনদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ সম্পর্কে মোবাইল ফোনে কল করে বক্তব্য চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম অভিযোগগুলো সুনির্দিষ্ট করে জানতে চান। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শোনার পর লিখিত আকারে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাঠালে জবাব দেওয়ার আশ্বাস দেন। তার হোয়াটসঅ্যাপে লিখিতভাবে লুটপাটের অভিযোগ সম্পর্কে ৬টি প্রশ্ন পাঠানোর পর তিনি এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোনে কল করে সাবেক প্রকল্প পরিচালক ও বর্তমানে অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহাজাদার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
ডা. মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহাজাদা বলেন, প্রকল্পের কেনাকাটায় কোনো ধরনের লুটপাট হয়নি। একটি মহল ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তার বিরুদ্ধে এ ধরনের বানোয়াট অভিযোগ তুলছে। স্ত্রীর তদবিরে নিজের অবস্থান করে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন বঙ্গভবনে কাজ করেছেন। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এসেছে বেশিদিন হয়নি। কিন্তু আমি অধিদপ্তরের কাজ করছি দীর্ঘদিন। আমার যোগ্যতা দিয়েই আমি কাজ করছি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, লুটপাটের এ ঘটনায় ‘অভিযোগের তির’ যার বিরুদ্ধে সেই সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহাজাদার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটো নিয়ম ভেঙে পাঁচজনকে ডিঙিয়ে তাকে প্রথমে উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ও পরে ২০ জনকে ডিঙিয়ে পরিচালক (প্রশাসন) পদে চলতি দায়িত্বে পদায়ন করা হয়েছে। অধিদপ্তরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিচালকের (প্রশাসন) পদটি তৃতীয় গ্রেডের। অথচ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সমমর্যাদার পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহাজাদাকে পরে ডিজি করার জন্যই এ পদে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার আশীর্বাদ ও একই মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তার স্ত্রীর তদবিরেই শাস্তির বদলে তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরও জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে অসুস্থ গবাদি পশু ভর্তি করার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। সব জায়গায় নেই ভেটেরিনারি সার্জনও। অথচ এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৬টি উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের জন্য এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার মেশিনারি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনা হয় (যার এপিপি আইডি নম্বর ১৫৩২১৩)।
এর মধ্যে পোর্টেবল হিট ডিটেক্টর, পশুর প্রেগনেন্সি টেস্টের জন্য আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন গাভির রোগ নির্ণয়ের জন্য কাউ ম্যাসটাইটাস ডিটেক্টরসহ বেশকিছু সরঞ্জাম এক কোটি ৩৫ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে। কিন্তু মিটফোর্ডের মেডিকেল সরঞ্জাম আমদানিকারক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, সেগুলোর বাজারদর সর্বোচ্চ ৫০-৬০ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, এসব সরঞ্জাম এক বছরের বেশি সময় আগে কেনা হলেও লোকবলের অভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আরও কয়েক মাস পড়ে থাকলে সবই বিকল হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এখানেই শেষ নয়, বিশ্বব্যাংকের সাহায্যপুষ্ট এলডিডিপি (প্রাণিসম্পদ অ্যান্ড ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প) প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসসহ অন্যান্য অফিসের মিনি ডায়াগনস্টিক ল্যাবের কথা বলে তিন কোটি তিন লাখ ৮০ হাজার টাকার মালামাল কেনা হয়েছে (যার এপিপি আইডি নম্বর : ১৬৭১৮০)। অথচ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে কোনো মিনি ডায়াগনস্টিক ল্যাব নেই। মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ড্রেসার আব্দুর রহমান তাদের অফিসে মিনি ডায়াগনস্টিক ল্যাব না-থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এবং ল্যাবের জন্য কোনো সরঞ্জাম পাননি বলেও জানান।
নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু কাউসার যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রয়োজনের তাগিদেই মেশিনারিজ কেনা হয়। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে সেগুলো অনেক জায়গায় ব্যবহৃত হয়, অনেক জায়গায় ব্যবহৃত হয় না। আমার এখানে ১৬ জনের জায়গায় ছয়জন দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে।’
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, দুই বছর আগেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে আলাদা কোনো প্রশিক্ষণ রুম ছিল না। অথচ ওই সময় জেলা ও উপজেলা প্রশিক্ষণ রুমের নামে এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক কোটি ৬০ লাখ টাকার টেবিল, চেয়ার ও ডিসপ্লে বোর্ডসহ অন্যান্য মালামাল কেনা হয়েছে (যার এপিপি আইডি নম্বর : ১৬৩২৬৯)।
এক্ষেত্রে নামমাত্র কিছু মালামাল সরবরাহ নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে অর্ধেকের বেশি টাকা প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে ঘিওর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, তাদের অফিসে প্রশিক্ষণ রুমের জন্য ৩০টি চেয়ার ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয়নি।
এর মধ্যে আবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ রুম নির্মাণ করা হয়। সেখানে প্রতি কক্ষের জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনে সরবরাহ করার জন্য বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে দেখা গেছে, মাঠকর্মীদের (সিল) ব্যবহারের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুই হাজার ৬৮১টি ট্যাব-৭ কেনা হয় (যার এপিপি আইডি নম্বর : ১০৯০৩৫)। প্রতিটি ট্যাবের দাম ১২ হাজার টাকা। বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়না থেকে আমদানি করা লেনেভো ব্র্যান্ডের ট্যাব-৭ কেনা হয়েছে তার বাজারমূল্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। ভ্যাট, ট্যাক্স ও ঠিকাদারের লাভ মিলিয়ে প্রতি ট্যাবে আরও দুই হাজার টাকা যোগ হলেও সাত হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। অথচ প্রতি ট্যাবে অন্তত পাঁচ হাজার টাকা বেশি দর ধরে প্রকল্প কর্মকর্তারা চার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প কর্মকর্তা ডা. এএনএম গোলাম মহিউদ্দিন কাজল বলেন, ‘প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোর জন্য ট্যাব কিনে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মূল্য নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’ উপজেলা পর্যায়ে ভেটেরিনারি হাসপাতাল না-থাকা অবস্থায় হাসপাতালের কথা বলে মেশিনারিজ কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডিপিপিতে ভেটেরিনারি হাসপাতাল উল্লেখ আছে বলে ওই নামেই টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।’
আর ট্রেনিং রুম না-থাকলেও ফার্নিচার কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেখানে ট্রেনিং সুবিধা তৈরি করতে পেরেছি, সেখানেই ফার্নিচার দিয়েছি। বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে মালামাল কিনে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, মালামাল কেনার জন্য টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি আছে। যারা সর্বনিু দরদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের মাধ্যমেই মালামাল সরবরাহ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মালামালের দাম বাজারদরের চেয়ে বেশি হলে আমাদের কিছু করার নেই। তা ছাড়া সরকারি কেনাকাটায় ভ্যাট-ট্যাক্স যোগ হয়ে মালামালের দাম একটু বেশিই হয়।’
অভিযোগ আছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মার্চে ঢাকার আলাউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় পশুরোগ ও অনুসন্ধানাগারের জন্য দু-দফা দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এক কোটি টাকার মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ কেনা হয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত নিুমানের মালামাল সরবরাহ নিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এই ল্যাবে এনএটিপি প্রকল্পের দেওয়া মেশিনারিজ এখন বিকল।
এ কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় যেসব ল্যাবরেটরির জন্য ২০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ কেনা হচ্ছে (যার এপিপি আইডি নম্বর : ১৬৭১৮০) সেই তালিকায় কেন্দ্রীয় পশুরোগ অনুসন্ধানাগারের নামও রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই প্রকল্পের আওতায় সেন্ট্রাল নিউটেশন ল্যাবের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক কোটি ২৫ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ ক্রয় দেখিয়ে (যার এপিপি আইডি নম্বর : ৯৯৭১১) বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু এসব যন্ত্রপাতি নিুমানের হওয়ায় পরের বছরই ফের এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থে এই ল্যাবের জন্য নতুন যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে। এ ছাড়াও খামারিদের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা করার নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে শতকরা ৫০ ভাগ খামারি প্রশিক্ষণ পায়।
বাকিদের যাতায়াত ভাতা, প্রশিক্ষণ সম্মানি, নাশতা খরচ ও প্রশিক্ষণসামগ্রী ক্রয়ের টাকা উপজেলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ভাগাভাগি করে নেন বলে অভিযোগ। এমনকি প্রকল্প পরিচালক প্রশিক্ষণে অংশ না-নিয়েই প্রায়ই প্রশিক্ষক হিসাবে উপজেলা থেকে ভাতা তোলেন বলেও অভিযোগ আছে।
এ ছাড়াও প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগেও মারাত্মক অনিয়মের অভিযোগ আছে। ডিপিপি/সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী এ প্রকল্পের জন্য ন্যূনতম পঞ্চম গ্রেডের (উপসচিব/উপ-প্রধান) কর্মকর্তাকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের প্রভাবে ষষ্ঠ গ্রেডের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন পরামর্শক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ক্ষুদ্র খামারিদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে নানামুখী কাজ চলছে। আর এসব কাজের ওপর কঠোর তদারকি থাকায় অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪৬০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এনএটিপি বা ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রকল্প-২ শুরু হয় ২০১৫ সালের অক্টোবরে। চলবে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে এরইমধ্যে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।