বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টসহ চার দেশের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ভারত ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য ও নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। গত রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইডিসিআর) ।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বিশ্বের সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আইইডিসিআর ভারত থেকে আগত ব্যক্তিদের মধ্যে রোগতাত্ত্বিক তদন্ত ও সন্দেহজনক রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সি করছে। এর ধারাবাহিকতায় আইইডিসিআর বিগত এপ্রিল মাসে ভারত থেকে আগত ২৬ সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জন রোগীর নমুনায় বি.১.৬১৭.২ (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত করে। এই ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশসহ ৪৪টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে সারা-কভ-২ প্রথম শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত এর অনেকগুলো ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। সম্প্রতি আইইডিসিআর, আসিডিডিআর’বি ও আইদেশি-র সাথে যৌথভাবে প্রায় ২০০ কোভিড-১৯ নমুনার সিকোয়েন্সিংস করে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা নাইজেরিয়া ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছে। এবং তা জিআইএসএআইডি-তে জমা দিয়েছে।
শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টগুলো হলো- ইউকে ধরন (বি.১.১.৭), দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন (বি.১.৩৫১), নাইজেরিয়ার ধরন (বি.১.৫২৫) ও ভারতীয় ধরন (বি.১.৬১৭.২)। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ভারতীয় ধরনটি বিশ্বের ৪৪টি দেশে শনাক্ত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। এদিকে, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ছয়জন রোগী একই পরিবারের সদস্য এবং বয়স ৭ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে। তারা ভারতের চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণ করেছিলেন। সম্প্রতি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি) যৌথভাবে প্রায় ২০০ কোভিড-১৯-এর নমুনা ‘সিকোয়েন্সিং’ করেছে। সে গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
ভারতীয় ধরনের সিকোয়েন্স বৈশ্বিক ডেটাবেইস জিআইএসএআইডিতে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।