নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বর্বর ও পাশবিক আগ্রাসন চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গত সোমবার থেকে এই আগ্রাসন শুরু হয়। শনিবার রাতভর বিমান হামলা পর আগ্রাসনের ৭ম দিন রবিবার সকালেও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৪১ শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ৯৫০ জন।
ইসরায়েলি পাশবিক আগ্রাসনের সাধ্যমতো জবাব দিচ্ছে ফিলিস্তিন প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। তারাও ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান লড়াই যেরকম তীব্র হয়ে উঠেছে তাতে খুব শিগগিরই এই সংঘাত একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ রূপ নিতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয়েছে আট শিশু ও দুই নারীর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আল জালা টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবন। সেখানে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অফিস ছিল। ইসরায়েলের দাবি, জঙ্গি সংগঠন হামাসের দফতর ছিল আল জালা টাওয়ারে।
আল জালা টাওয়ারের মালিক জওয়াদ মেহেদি জানান, ইসরায়েলের একজন সেনা কর্মকর্তা তাকে ফোন করে এক ঘণ্টার মধ্যে ভবন খালি করে দিতে বলে। দ্রুত সকলকে বের করে দেওয়া হয়। তার পরেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুঁড়িয়ে যায় বহুতল ভবনটি।
এদিকে, গাজায় আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ বিভিন্ন এলাকায় ২ হাজারের বেশি রকেট ছুঁড়েছে ফিলিস্তিনিরা।
হামাসের রকেটের ভয়ে ইসরায়েলে কর্মরত ভারতীয় নার্সদের বিনিদ্র রজনী কাটছে। এরই মধ্যে হামাসের ছোড়া রকেটের আঘাতে ইসরায়েলের আশকালন শহরে মারা গেছেন কেরালার নার্স সৌম্যা সন্তোষ। সেই ঘটনা তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাদের। যুদ্ধের আবহে জীবন ও জীবিকা দুই-ই হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী ইসরায়েলে প্রায় ১৪ হাজার ভারতীয় নাগরিক বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে ১৩ হাজার ২০০ জনই নার্স। সূত্র: আনন্দবাজার