গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা সপ্তম দিনে পড়েছে। আজ রোববার ভোর রাত থেকেই ইসরাইল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যেই অন্তত চারজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। আরো দুটি আবাসিক ভবন ধ্বংস করা হয়েছে।
গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ারকেও টার্গেট করা হয়েছে বলে গ্রুপটির টিভি জানিয়েছে। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো পক্ষের কাছ থেকেই কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আজ রোববার ভোর রাতে গাজায় জাতিসঙ্ঘ উদ্বাস্তুবিষয়ক অফিস কম্পাউন্ডের কাছে ব্যাপক বোমা হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার গাজা পরিচালক ম্যাথিয়াস স্কমেল।
এদিকে তেল আবিবে গাজা থেকে আসা রকেট নিক্ষেপের জের ধরে লোকজন বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হামাসের রকেটগুলো রুখে দিচ্ছে।
গতকাল ইসরাইল আল জাজিরা ও এপির অফিস ধ্বংস করে দিয়েছে।
শনিবার রাতে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যত দিন প্রয়োজন, তত দিন গাজায় অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণঅ দিয়েছেন। আর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, তাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।
ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৪১ জন। আহত হয়েছে প্রায় ৯৫০ জন। আর অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী অন্তত ১৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
হামাসের রকেট হামলায় অন্তত ১০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। শনিবার দুজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ রোববার ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া নিয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি সহিংসতার নিন্দা ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা