গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৬ শিশুসহ ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি এলাকায় হামলা আরও জোরদার করেছে। এতে আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ। আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ গাজার পর পশ্চিম তীরেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সংঘর্ষে ৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনের কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় ১০০ জন।
সংঘর্ষ চলাকালীন ইসরায়েলি বাহিনী রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়েছে এবং ফিলিস্তিনিরা পেট্রলবোমা ছুড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতভর গাজায় হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েল তার হামলার বড় লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছিল ফিলিস্তিনের পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর ভবন। এরপর গাজায় একটি শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালায় তারা। এসব হামলা থেকে বাঁচতে গাজার উত্তরাঞ্চলের জাতিসংঘের পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে।
ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচির আন্তোনিও গুতেরেস। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনও একই আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা করা দরকার, তা–ই করা হবে।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে চলতে থাকা ওই সংঘর্ষে ফিলিস্তিন থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। এসব হামলায় ইসরায়েলের এক সেনা, এক শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়। আর আহত হয় প্রায় সাড়ে ৫০০ জন। এ হামলার জবাবে ৮০০টি স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।