তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় তিনি ‘ক্রুদ্ধ’ হয়েছেন। তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের নির্মমতায় আমরা একইসাথে দুঃখিত ও ক্রুদ্ধ।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি নগরীগুলোতে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। মানবতার জন্য জেরুসালেমের সম্মান রক্ষা করা আমাদের কর্তৃব্য।
এরদোগান আরো বলেন, যারা ইসরাইলের রক্তক্ষরণে নীরব থাকছে বা প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে, তাদের জেনে রাখা উচিত, একদিন তাদের পালাও আসবে। তিনি বলেন, জেরুসালেমৈ শান্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নির্যাতনে এমনকি পুরো দুনিয়া অগ্রাহ্য করলেও তুরস্ক চুপচাপ বসে থাকবে না।
সূত্র : আল জাজিরা
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক রোববার
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধের বিষয় নিয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনীতিকরা বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে শুক্রবার নির্ধারিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি, যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকটি আয়োজনে সম্মতি জানিয়ে পরবর্তী সপ্তাহের শুরুতে করার প্রস্তাব দেয়। তিউনিসিয়া, নরওয়ে ও চীনের অনুরোধে অয়োজিত এই বৈঠকটি রোববার অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার কূটনৈতিক কার্যক্রমের জন্য আরো সময় চেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শুক্রবারের অধিবেশন পিছিয়ে দেয়ার ব্যাপারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে বাধা দিচ্ছে না, তবে বৈঠকের জন্য সময় প্রয়োজন।
ব্লিনকেন ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমারা জাতিসঙ্ঘে উন্মুক্ত এবং ফলপ্রসু আলোচনায় সমর্থন করছি।’
রোববার বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী সপ্তাহের শুরুতে বৈঠকের অপেক্ষা করছি, এতে আমি আশা করছি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য কিছু সময় পাবো।’
ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি ইসলামি আন্দোলন হামাসের রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েলের আগ্রাসী হামলার পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : বাসস