মানিকগঞ্জঃ চিরচেনা পাটুরিয়া ঘাট সকাল থেকেই ফাঁকা। কিছু কিছু যাত্রীদের দৌড়ঝাঁপ দেখা গেলেও প্রাইভেট কার আর মাইক্রোবাসের আগের সেই লম্বা লাইন দেখা যায়নি। শুধু মাত্র লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স আর অতি জরুরী পণ্যবাহী পরিবহনের সাথে কিছু কিছু যাত্রী ফেরি পার হচ্ছেন। আর পাটুরিয়া ঘাট ফাঁকা হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে বিজিবি। ঘাটে গাড়ি কিংবা যাত্রী ঢোকার আগেই শিবালয়ের টেপড়ায় বিজিবি জওয়ানরা চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনগুলোকে আটকে দিচ্ছেন। তাদের ব্যারিকেড ভেঙে ঘাট পর্যন্ত কোন গাড়ি যেতে পারছে না।
সকাল থেকে মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন এক দৃশ্য। ঈদের আগে যেখানে পাটুরিয়া ঘাটটি যানবাহন আর মানুষের চাপে ভরপুর থাকে সেখানে কার্যত সুনসান নীরবতা।
সকালে প্রাইভেট কার আর মানুষের কিছুটা চাপ দেখা গেলেও বেলা ১০টার পর ফাঁকা হয়ে যায় ঘাটটি। শুধু মাত্র দুটি ছোট ফেরি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও অতি জরুরি পরিবহন আর কিছু কিছু যাত্রী পারপার করা হচ্ছে।
এছাড়া পাটুরিয়া ঘাট থেকে ৮ কিলোমিটার পেছনে মহাসড়কের টেপড়া এলাকায় বসানো হয়েছে বিজিবির চেকপোস্ট। পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটমুখী কোন যানবাহন ও যাত্রীদেরকে তারা যেতে দিচ্ছে না। উল্টো পথে ঘুরিয়ে দিচ্ছে ওই সব ছোট গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেট কার, মাইক্রোসহ অন্যান্য পরিবহনগুলোকে। চেকপোস্টের আওতামুক্ত থাকছে লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পরিবহনগুলো।
বিআইডব্লিউটিসির ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দুটি ফেরি দিয়ে শুধু মাত্র লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন এবং ঘাটে বিভিন্ন পন্থায় আসা যাত্রীদের পার করা হচ্ছে। বিজিবির সদস্যরা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনগুলো আটকে দেয়ার কারণেই পাটুরিয়া ঘাট একবারেই স্বাভাবিক।