গাজীপুর: সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে বনের জায়গা জবরদখল করে বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করতে গিয়ে সাংবাদিক পিটিয়ে কারাগারে পাঠানো ইউপি সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার কলিম উদ্দিন কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার পরিদর্শক(অপারেশন) গোলাম সারোয়ার।
জানা গেছে, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য কলিম উদ্দিন। একটি ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী থেকে পুলিশ অব্যাহতি দিলেও বনের মামলা ও সাংবাদিক পেটানো মামলায় তিনি গ্রেফতার হলেন। পুলিশ কর্তৃক ধর্ষন মামলায় অব্যহতি পেলেও ভিকটিম পুলিশ সুপারের নিকট জোর পূর্বক আপোষ করানোর কথা উল্লেখ করে কলিম উদ্দিন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন। কিছু দিন আগে চ্যানেল আইয়ের স্থানীয় প্রতিনিধির ক্যামেরা পারসন রমজান আলী রুবেল সহ দুই সাংবাদিককে তার বনের জায়গায় গড়ে তোলা স্থাপনার ছবি তোলার সময় মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে পুলিশ এনে চাাঁদাবাজী মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। পুলিশ চাাঁদাবাজী মামলা গ্রহন করে ও আহত সাংবাদিকের স্ত্রীর করা মামলাও রেকর্ড করে। দুই সাংবাদিককে থানা হাজতে রেখে পুলিশ কারগারে পাঠালেও থানা থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামী কলিম মেম্বার কৌশলে পালিয়ে যায়। সেই থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। কারাগারে থাকা দুই সাংবাদিকের মধ্যে একজন জামিনে মুক্ত হলেও আরেকজন এখনো কারাগারে রয়েছেন।
আইনজীবীদের প্রশ্ন, সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে ইউপি মেম্বার কি ভাবে থানায় আসা-যাওয়া করতেন এবং ইউনিয়ন পরিষদে অফিস করতেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মেম্বারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার কথা স্বীকার করে সেগুলো সরলতার কারনে হয়েছে জানিয়ে কাওরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ আজিজুল হক আজিজ বলেন, বনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। যেটা থেকে জামিন নেওয়ার জন্য বারবারই আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি সেটার গুরুত্ব দেননি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বনের একটি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।