বিনোদন নিউজ : বর্তমান সময়ে প্রায় অধিকাংশ মানুষের কষ্ট বুকে যাপন করেই বেঁচে আছে। একেক মানুষের কষ্ট একেক রকম। প্রতিটি মানুষের কষ্টের রঙ আলাদা। কষ্ট ছাড়া মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন কাজ। তেমনি একটি মানুষ অপূর্ব, যার কষ্ট লক্ষ্য- কোটি মানুষের কষ্টের চেয়ে তাঁর কষ্টের রঙ আলাদা। সারা নামক একটি মেয়েকে ভালোবেসে ছিলো মন উজাড় করে। সেই সারায় অপূর্বকে বিয়ে না করে বিয়ে করে জাহিদকে। কারণ, সারার বাবা হার্টের রোগী। সারা বাবাকে বাঁচাতে ভালোবাসাকে কোরবানি দেয়। অপূর্ব সারার ভালোবাসা না পেয়েও সারার জন্য একটি জাদুঘর নির্মাণ করে। সেই জাদুঘর পৃথিবীতে প্রথম চিন্তাধারার। সারা দুনিয়ায় বিভিন্ন পার্ক, বিনোদন মূলক জায়গা, চিরিয়াখানা, সমুদ্রবিচ সব পর্যটনমূলক স্থাপনায় সবাই আনন্দ-ঘুরতে যায়। কিন্তু প্রাণভরে কষ্ট-বেদনা ও কান্নার কোনো স্থাপনা নেই। যেখানে গিয়ে মানুষ দুঃখ-বেদনা-কষ্ট ভুলে যাবে। অপূর্ব এমনি একটি জাদুঘর নিমার্ণ করে। সারা দুনিয়ায় হৈচৈ পরে যায়।
সারা সংসার করে জাহিদকে বিয়ে করে। কিন্তু জাহিদের চরিত্র ভালো না হবার কারণে ডিভোর্স হয়ে যায়। সারাকে প্রচ- নির্যাতন করে। সারার সংসার ভেঙ্গে যায়। সারার চিন্তায় তার বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়। শুরু হয়, সারার কষ্টের জীবন। জাহিদও একাধিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলে সুখের জীবন। কষ্টে কষ্টে কাটে দিন। এছাড়াও রিয়া ও শ্রাবন্তীসহ সকল চরিত্রের হরেক রকম কষ্টের কথা উঠে এসেছে। কষ্ট মানুষকে কিভাবে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। কীভাবে কষ্টের কাছে হেরে যায় মানুষ; এমনি সব কষ্টজীবী মানুষদের গল্পে নির্মিত হয়েছে টেলিছবি ‘জাদুঘরের নাম কষ্ট ’।
কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক সমকলের সাংবাদিক ইজাজ আহ্মেদ মিলন লিখেছেন ভিন্নিধর্মী চমৎকার এ গল্প। এই গল্প অবলম্বনে পাঠক প্রিয় কবি ও নাট্যকার মিজানুর রহমান বেলালের চিত্রনাট্যে‘ জাদঘরের নাম কষ্ট’ টেলিছবি নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা আদিত্য জনি। প্রযোজনা করেছেন পুলক প্রাঙ্গণ।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপূর্ব চরিত্রে আব্দুন নুর সজল, সারা চরিত্রে হিমি, জাহিদ চরিত্রে মারজুক রাসেল। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিথিলা, রতন, শায়মা রুশো, আনোয়ার, শোরমী,রুশ খান,পারভীন আকতার প্রমুখ।
লাক্স মাঝদুপুরের টেলিছবি ‘জাদুঘরের নাম কষ্ট’ প্রচার হবে ৫ মে, বুধবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়।