মোদীবিরোধী বিক্ষোভ থেকে সংঘাতের মামলায় শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টির প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যে সব ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধটা কী? কাউকে খুন করেছে? কাউকে বলাৎকার করেছে? কারও কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করেছে? তারা শুধু মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। এটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমিও এই একই অপরাধে অপরাধী। আমাকেও গ্রেপ্তার করুন।’
সোমবার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক সমাজ’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন জাফরুল্লাহ। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচিতে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্য ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতায় ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত হয়। ওই সব ঘটনায় পুলিশের মামলা করে।
ওই সব মামলায় ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, ডা্কসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ ৫৬ জন ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কর্মসূচিতে জানান সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এসব ছাত্রদের মুক্তির বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ।
কর্মসূচিতে সংহতি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর।