বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ২৬ বছরের এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারীর খালাতো দুলাভাইসহ আটজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, নড়াইল জেলার সদর উপজেলার ২৬ বছরের এক গৃহবধূ আত্মীয়তার সূত্রে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামে খালাতো দুলাভাই মিন্টু মোল্যার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই নারীর খালাতো বোনের তার অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনিও সেখানে যান। রাতে ওই নারীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দুলাভাই মিন্টু মোল্ল্যা। পথে চতুল ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে মিন্টু মোল্যাসহ আরো দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে ওই এলাকার আরো পাঁচজন সেখানে গিয়ে মিন্টুকে মারধর করে ওই নারীকে তারা পাঁচজন আবারো ধর্ষণ করে।
নিজেকে বাঁচাতে মিন্টু মোল্যা তার খালাতো শ্যালিকাকে ম্যানেজ করে এ ঘটনার বিষয়টি প্রথমে আলফাডাঙ্গা থানায় জানায়। ঘটনাস্থল বোয়ালমারী থানার মধ্যে হওয়ায় আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ বোয়ালমারী থানায় জানালে ভুক্তভোগী নারী এবং দুলাভাই মিন্টু মোল্ল্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে আটজনকে আটক করে। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই নারী মামলা করেছেন।
আকটকৃতরা হলেন, ওই গৃহবধূর খালাতো বোনের স্বামী আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রাম কাওসার মোল্যার ছেলে মো. মিন্টু মোল্যা (৩৫), জয়দেবপুর গ্রামের ওলিয়ার ফকিরের ছেলে হাসমত ফকির (৩২), বোয়ালমারী উপজেলার বনচাকি চরপাড়া গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে জয়নাল আবেদিন (২৯), হেমায়েত হোসেনের ছেলে মফিজুল মোল্যা (২১), আব্দুল কুদ্দুস মোল্যার ছেলে রাজু মোল্যা (২০), রামদেবনগর গ্রামের কামরুল শেখের ছেলে শাহিন শেখ (২১), নূর মোহাম্মদ শেখের সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও চরসুখদেবনগর গ্রামের আবু মোল্যার ছেলে রিপুল মোল্যা (৩৯)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে রাতভর অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত নারী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। বিকেলে ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।