ডেস্কঃ ভারতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে মারণ ব্যধি করোনাভাইরাস। সংক্রমণ আর মৃত্যু উভয়ই বাড়ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্ব গতির সঙ্গে পাল্লা দেয়া মেডিক্যাল আক্সিজেনের সংকট। করোনা সুনামি আছড়ে পড়ায় ভারতের রাজধানী দিল্লি এখন কার্যত মৃত্যুপুরী। ২৪ ঘণ্টা জ্বলছে গণ চিতা।
গত এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যু মিছিল চলছে রাজধানীতে। প্রতি ঘণ্টায় মৃত্যু হচ্ছে ১২ জনের, যেখানে গত ৫ সপ্তাহ ধরে সংখ্যাটা ছিল ৫। সংগৃহীত ছবি।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সোম থেকে শনিবারের মধ্যে (১৯-২৪ এপ্রিল) ১,৭৭৭ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লি প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, ঘন্টায় ১২ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছে। তারা যদি হিন্দু হয়ে থাকে, তবে বলা যায়, ঘণ্টায় ১২ জনকে পোড়ানো হয়েছে।
ঠিক তার আগের সপ্তাহের সোম থেকে শনিবারের (১২-১৭ এপ্রিল) মধ্যে রাজধানীতে মৃত্যু হয়েছিল ৬৭৭ জনের। প্রতি ঘন্টায় মৃতের সংখ্যা ছিল পাঁচ। এক সপ্তাহের ব্যবধানের ঘন্টায় ১০ জন বেশি দিল্লিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা, সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়বে।
চলতি সপ্তাহের সোমবার ২৪০ আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবার ২৭৭, বুধবার ২৪৯, বৃহস্পতিবার ৩০৪, শুক্রবার ৩৪৮ জনের অধিক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়।
প্রশাসনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার। ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৫১। বৃহস্পতিবার সব রেকর্ড ভেঙে রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৮,৩৯৫ জন। তার ফলে এক ধাক্কায় ঘন্টা প্রতি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৮৩।
প্রশাসনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার। ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৫১। বৃহস্পতিবার সব রেকর্ড ভেঙে রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৮,৩৯৫ জন। তার ফলে এক ধাক্কায় ঘন্টা প্রতি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৮৩।
সূত্র : নিউজ ১৮