সোয়া দুই কোটি পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলে প্রতিটি পরিবার সোয়া ৪ টাকা করে পাবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অবস্থা প্রতিদিনই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সব ধরনের গবেষণা বলেছে, বাংলাদেশ দরিদ্র পরিবার সোয়া ২ কোটি অতিক্রম করেছে। এই সোয়া দুই কোটি পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এর মানে হচ্ছে প্রতি পরিবারে সোয়া ৪ টাকা করে পাবে। সোয়া ৪ টাকা দিয়ে রমজান মাসে কী খেতে পারেন? এই জাতীয় মশকরা করছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আজ উনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার যে এই মশকরার দিন ফুরিয়ে আসছে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় শহীদ মিনারে ‘লকডাউনে মানুষের হাহাকার বন্ধে- ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছাও’ শিরোনামে নাগরিক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আপনি সাড়ে ১০ কোটি টাকা দান করে ভিক্ষা দিচ্ছেন কাকে? যার টাকা তাকেই। আপনার ঘোষণা অনুযায়ী আপনার (সরকার) তহবিলে আছে ৪৩ বিলিয়ন ডলার। কোনো চিন্তাভাবনা না করে আড়াই কোটি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার খাদ্য সহায়তা দেন।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আরেকটা কথা, আমাদের যত রাজনীতিবিদ আছেন, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, সবাই মিলে দেশের এক লাখ ধনী পরিবার, ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাত দিন চেষ্টা করলে ১০ কোটি টাকা উঠাতে পারি না? যারা মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা নিয়ে, বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকা মালিক হয়েছেন তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই আপনারা যদি সাহায্যে না নামেন তাহলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের খামখেয়ালীপনার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ডাকাতের সরকার কখনো জনগণের কথা ভাবে না। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জনগণ জিতবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’
কর্মসূচিতে দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, কলামিস্ট, শিক্ষকসহ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ অংশ নেন। এদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের ড. রেজা কিবরিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ইশতিয়াক আজিজ উলফত ও সাদেক খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রেহনোমা আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান , নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবি আমাতুল্লাহ সহ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূইয়া প্রমুখ