রূপগঞ্জ উপজেলার ছোনাব এলাকায় বোমা বানাতে গিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৪ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার সকালে গোটা উপজেলায় রকমতউল্লাহর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পরে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালসহ স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে ভুলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেনের বাড়িতে তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ঝুটের গোডাউনে বোমা বানানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে ছোনাব এলাকার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা শাহিন মিয়ার ঝুটের গোডাউনে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে সেখানে বোমা বানানোর সময় রকমতউল্লাহ, শাহীন মিয়া, কবির ও রাসেলসহ ৪ জন গুরুতর হয়েছেন। এদের মধ্যে উপজেলার ছোনাব এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে রকমতউল্লাহকে (২৩) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে গতকাল সকালে রূপগঞ্জ থানার ওসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থলে যায়। এসময় বিস্ফোরণ স্থল ঘরটি তালাবস্থা দেখতে পেয়ে পুলিশ তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০টি রামদা, একাধিক ছোড়া ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। স্থানীয় লোক ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ঘটনার পর পরই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরণের আলামত সরিয়ে ফেলে। রাতভর এ এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করে। পরে ভোরে তারা যে যার মতো করে সরে পড়ে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিব সাংবাদিকেদের জানায়, তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। কোনদিন ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের কোন মিটিং মিছিলে তাদের দেখিনি।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিব সাংবাদিকেদের জানায়, তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। কোনদিন ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের কোন মিটিং মিছিলে তাদের দেখিনি।