সদ্য প্রয়াত বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা মা সারাহ বেগম কবরী হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই সঙ্গে ছিলেন ছেলে শাকের চিশতী। পাঁচ ছেলের মধ্যে বড় তিন ছেলে দেশের বাইরে এবং ছোট ছেলে অটিজমের সমস্যা থাকায় মায়ের দেখভালের সকল দায়িত্ব পড়ে শাকের ওপর।
মায়ের মৃত্যুর দুদিন পর করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শাকের চিশতী। তিনি জানান, গতকাল রোববার রাত থেকেই জ্বর। খাবারের স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় ঘাবড়ে যান কবরীর ছেলে শাকের। ছুটে যান একটি সরকারি হাসপাতালে। করোনার পরীক্ষা শেষে সেখানে ভর্তি হতে না পেরে, বারিধারার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
শাকের চিশতী বলেন, ‘ফুসফুসের সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। এখনো রিপোর্ট হাতে পাইনি। করোনার টেস্টও করা হয়েছে। জ্বর, স্বাদ-গন্ধ না পাওয়ার পাশাপাশি অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫-এর নিচে নেমে যাওয়ায় ঘাবড়ে যাই। তাই দ্রুত পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’
এদিকে, গেল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বরেণ্য অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরী।
এর আগে, গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে। ১৫ এপ্রিল নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।